মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরে একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। হামলার লক্ষ্য ছিল বেসামরিক স্থাপনা এবং ধর্মীয় স্থান, যার মধ্যে অন্তত একটি মসজিদও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী আকাশ ও স্থলপথে পালটা অভিযান চালায়। রাওয়ালপিন্ডি থেকে পরিচালিত এই প্রতিরোধ অভিযানে ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান, সামরিক চৌকি ও কৌশলগত স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয় বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
পালটা অভিযানের ফলে সীমান্ত এলাকায় ভারতের সেনাবাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পিছু হটে যায়। এরই মধ্যে সীমান্ত চৌকির একটি পয়েন্টে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণ করার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
আতাউল্লাহ তারার বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লেখেন,
“তদন্ত থেকে পালিয়েছে আগে। এখন ময়দান থেকেও পালিয়েছে তারা।”
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়,
“কাশ্মির বিভাজনকারী সীমান্তের একটি সামরিক চৌকিতে ভারতীয় সেনারা সাদা পতাকা উড়িয়েছে। যুদ্ধের সময় সাদা পতাকা সাধারণত আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।”
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় হামলায় আজাদ কাশ্মিরের কয়েকটি এলাকা যেমন কোটলি, ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর, বাঘ, মুজাফফরাবাদ এবং মুরিদকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই হামলায় কোটলিতে দুই বেসামরিক নাগরিক এবং আহমেদপুরে একটি শিশু নিহত হয়। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এসব তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের DG ISPR মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
সামরিক কৌশল বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তে সাদা পতাকা উত্তোলনের ঘটনা যদি প্রমাণিত হয়, তবে তা কেবল সামরিক নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়েরও প্রতীক হিসেবে ধরা হবে—যা ভারতীয় সামরিক মনোবলের ওপর চাপ বাড়াবে।
আন্তর্জাতিক মহল ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, ওআইসি ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এই উত্তেজনার মধ্যস্থতায় উদ্যোগী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?