ফরাসি নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ইসরায়েলি হারপ ড্রোন ভূপাতিত করার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একে একে ২৫টি হারপ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান বলছে, ভারত এখন কেবল আকাশেই নয়, রাজনৈতিকভাবে এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবেও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, ড্রোন প্রতিহত করতে তারা টেকনিক্যাল (সফট-কিল) এবং অস্ত্রনির্ভর (হার্ড-কিল) দুই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন,
“ইসরায়েলি হারপ ড্রোনের ব্যবহার ভারতের ভয় এবং দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।”
এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান—যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ব্যয়বহুল রাফাল, একটি মিগ-২৯ ও একটি সুখোই—ভূপাতিত করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের (রাফাল নির্মাতা) শেয়ারের দাম পড়ে যায়। প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার ১.৬৪ শতাংশ কমেছে। বিপরীতে পাকিস্তান-চীন যৌথ উৎপাদিত জেএফ-১৭ এবং চেংডু নির্মিত জে-১০ যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সিএসি-এর শেয়ার ১৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তব যুদ্ধের ময়দানে রাফালের এই ব্যর্থতা ভারতের সামরিক মর্যাদা ও কেনা প্রযুক্তির উপর আস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এতদিন যেসব অস্ত্রকে গর্বের প্রতীক হিসেবে প্রচার করেছে, আজ সেগুলোর কার্যকারিতা নিয়েই গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতে তৈরি ফ্রন্ট লাইন সামরিক সদর দপ্তর ও চৌকি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, কাশ্মীর সীমান্তে ভারতের ১২ নম্বর পদাতিক ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টারসহ একটি তল্লাশি চৌকি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনার কয়েকজন সদস্যকে আটক করার কথাও জানানো হয়েছে।
বুধবার সকালে ভারতের ছয়টি শহরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যে এই পাল্টাপাল্টি অভিযানে ৪৬ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন,
“ভারত শুধু বিমান হারায়নি, তারা মনোবল, কৌশল এবং তাদের কথিত আধিপত্যও খুইয়েছে। রাফাল ভূপাতিত হওয়ার অর্থ, সামরিক নির্ভরযোগ্যতার চূড়ান্ত পতন।”
ফরাসি রাফালকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক মাল্টিরোল ফাইটার জেট হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি প্রতি ইউনিটে প্রায় ৩৭৫০ কোটি টাকার সম্পদ। আর ইসরায়েলি হারপ ড্রোনের প্রতিটির দাম ১৫০ কোটি টাকার বেশি। ভারত সরকার এই দুটি অস্ত্রই দীর্ঘদিন ধরে তাদের আধুনিক প্রতিরক্ষা নীতির অংশ হিসেবে প্রচার করছিল।
নেটিজেনরা বলছেন,
“যুদ্ধ করল ভারত ও পাকিস্তান, কিন্তু শেয়ারবাজারে ক্ষতি হলো ফ্রান্সের, লাভে চীন!” অনেকে আবার মোদিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “ভারতের সাথে ফ্রান্স, রাশিয়া—সবাইকে টেনে নিয়ে তিনি নিজের সঙ্গেই রাফালেরও বারোটা বাজালেন!”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু প্রযুক্তির পরাজয় নয়, বরং মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলের ভিত্তিই এখন প্রশ্নের মুখে। সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে রাফালের ব্যর্থতা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং বিদেশি অস্ত্র নির্ভরতার বাস্তবতাকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?