রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলিদের উপস্থিতি যেকোনো দেশের জন্য অশুভ

“ইহুদিবাদী নেতাদের সফর যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য অশুভ সংকেত। বিশ্বের সচেতন মানুষ জানে, ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটন করেছে এই শাসকগোষ্ঠী। কাজেই কোন দেশ কাকে আতিথেয়তা দেবে, তা নিয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা দরকার।”

ইসরাইলিদের উপস্থিতি যেকোনো দেশের জন্য অশুভ

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৭ মে ২০২৫, ০০:২৭

যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনাকারী দলের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেন,

“আমরা শুধুমাত্র ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক ও পরিণত অবস্থানকেই গুরুত্ব দিই। নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে যুক্তিসঙ্গত অবস্থান নিতে পারা সম্পূর্ণভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।”

সোমবার তেহরানে আয়োজিত এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির পাকিস্তান সফরের প্রসঙ্গ টেনে বাকায়ি জানান,

“ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। পাকিস্তান সফর ছিল সেই কৌশলগত পরামর্শ কাঠামোরই অংশ।”

আরাকচি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি। আলোচনায় উঠে এসেছে অধিকৃত ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া এবং বৃহত্তর পশ্চিম এশিয়ার চলমান সংকট ও আগ্রাসনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশল।

এর পাশাপাশি আরাকচির আসন্ন ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন বাকায়ি। তিনি জানান,

“জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে আরাকচি শিগগিরই ভারত যাবেন।” সোমবার পাকিস্তান সফর শেষ হওয়ার পর, বৃহস্পতিবার তার নয়াদিল্লি সফর নির্ধারিত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার হুমকির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বাকায়ি বলেন,

“ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আমাদের অবস্থান অটল এবং তা আন্তর্জাতিক আইন ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে গঠিত। আমরা এই রেড লাইন অতিক্রম করব না এবং আলোচনা সেই কাঠামোতেই পরিচালিত হবে।”

তিনপক্ষীয় আলোচনার স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে বাকায়ি বলেন,

“ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ঘনিষ্ঠ মহলে যেসব উস্কানিমূলক এবং কূটনীতি বিরোধী তৎপরতা বেড়েছে, তার পেছনে যে একটি পরিকল্পিত ব্যাঘাত আনার প্রয়াস চলেছে—তা আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।”

তিনি বলেন,

“আমরা গুঞ্জন শুনেছি, কেউ কেউ অভ্যন্তরীণভাবে মার্কিন সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চাইছে। কিন্তু ইরানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান। তাদের ভেতরকার মতানৈক্য বা কৌশলগত বিভ্রান্তি আমাদের কূটনৈতিক অবস্থানকে প্রভাবিত করে না।”

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর আজারবাইজান সফর বাতিলের প্রসঙ্গে বাকায়ি মন্তব্য করেন,

“ইহুদিবাদী নেতাদের সফর যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য অশুভ সংকেত। বিশ্বের সচেতন মানুষ জানে, ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটন করেছে এই শাসকগোষ্ঠী। কাজেই কোন দেশ কাকে আতিথেয়তা দেবে, তা নিয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা দরকার।”

ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের প্রস্তাবিত রোম বৈঠক স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান,

“কোনো রাজনৈতিক বার্তা নয়, শুধুমাত্র লজিস্টিক জটিলতার কারণে এই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনা পুনরায় শুরুর পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।”

রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসঙ্গে বাকায়ি বলেন,

“চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে এটি আইনি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে।”

মোশে মেকানিজম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইরানি মুখপাত্র বলেন,

“আমাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার অপব্যবহার এবং নিরাপত্তা পরিষদে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা যেমন অগ্রহণযোগ্য, তেমনি এর পরিণতি প্রতিপক্ষের জন্যই ক্ষতিকর হবে।”

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলন নিয়েও মন্তব্য করেন বাকায়ি। তিনি বলেন,

“এই বৈঠকে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঐক্য এবং আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন কাঠামো গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ইরান এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখবে।”

পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন,

“এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য ইরান সব রকম কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণে প্রস্তুত। আমরা চাই না, এই অঞ্চল আর কোনো সামরিক উত্তেজনার শিকার হোক।”

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৮

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৮

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৮

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৮