সুদানের রাজধানী পোর্ট সুদানে মঙ্গলবার বিমানবন্দর ও একটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে টানা তৃতীয় দিনে সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে বাসস।
একটি ড্রোন পোর্ট সুদান বিমানবন্দরের বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এটি দেশটির প্রধান প্রবেশপথ। বিমানবন্দরের সামরিক ঘাঁটিতে প্রথম ড্রোন হামলা চালানোর দু’দিন পর আরএসএফকে এ হামলার জন্য দায়ী করেছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে জানায়, আরেকটি ড্রোন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রধান সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি হোটেলেও হামলা চালানো হয়।
সেনা ঘাঁটি ও হোটেল উভয়ই সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাসভবনের কাছে অবস্থিত। তিনি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে তার সাবেক উপসেনাপ্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলোর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। মোহাম্মদ হামদান দাগলোর আরএসএফের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তৃতীয় ড্রোনটি দক্ষিণ বন্দরের কাছে একটি জ্বালানি ডিপোতে আঘাত করেছে। জ্বালানি ডিপোটি ঘনবসতিপূর্ণ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। সেখানে জাতিসঙ্ঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ লাখ লাখ মানুষকে রাজধানী খার্তুম থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত মার্চ মাসে রাজধানী খার্তুমের বেশিভাগ অঞ্চল হারানোর পর থেকে সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের গভীরে আক্রমণ করতে আরএসএফ ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
পোর্ট সুদানজুড়ে ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এলাকাটি আগে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হত।
এএফপির এক সংবাদদাতা ভোরের দিকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও শহরের ওপর দিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর কথা জানান। ধোঁয়ার কুণ্ডলী একটি বন্দরের দিক থেকে এবং আরেকটি দক্ষিণে অবস্থিত একটি জ্বালানি ডিপো থেকে আসছে বলে তিনি জানান।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?