বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন ভূখণ্ডে প্রতি বর্গকিমি দখলে গড়ে ২৭ সেনা হারিয়েছে রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২০২৪ সাল ছিল রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত বছর। ওই বছর অন্তত ৪৫ হাজার ২৮৭ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন, যেটা আগের বছরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। তখন যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘতম সংঘর্ষ হয়েছিল বাখমুতে। ১ অক্টোবর ২০২৪-এ রুশ বাহিনী ডোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর ভুহলেদার দখল করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য […]

ইউক্রেন ভূখণ্ডে প্রতি বর্গকিমি দখলে গড়ে ২৭ সেনা হারিয়েছে রাশিয়া

ইউক্রেন ভূখণ্ডে প্রতি বর্গকিমি দখলে গড়ে ২৭ সেনা হারিয়েছে রাশিয়া

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৬:০০

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২০২৪ সাল ছিল রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত বছর। ওই বছর অন্তত ৪৫ হাজার ২৮৭ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন, যেটা আগের বছরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। তখন যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘতম সংঘর্ষ হয়েছিল বাখমুতে।

১ অক্টোবর ২০২৪-এ রুশ বাহিনী ডোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর ভুহলেদার দখল করে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার মতে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের ২ হাজার ৩৫৬ বর্গকিমি এলাকা দখল করে। পুরো বছরজুড়ে দখল করা এলাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ১৬৮ বর্গকিমি। এর বিপরীতে রাশিয়া হারায় অন্তত ৪৫ হাজার ২৮৭ সেনা অর্থাৎ প্রতি বর্গকিমি দখলে গড়ে ২৭ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়।


বিবিসি রুশ সার্ভিস, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলগুলোর সমন্বয়ে রুশ কবরস্থান, সামরিক স্মৃতিসৌধ ও মৃত্যুসংবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে— যুদ্ধ চলাকালীন এখন পর্যন্ত ১ লাখ ০৬ হাজার ৭৪৫ জন নিহত রুশ সেনার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। অনুমান অনুযায়ী, এই সংখ্যা ৪৫ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ মোট মৃত্যু হতে পারে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২২৩ থেকে ২ লাখ ৩৭ হাজার ২১১ জন।
২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ছিল রুশ বাহিনীর জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।

ওইদিন দোনেৎস্কের দখলকৃত ভোলনোভাখা শহরের কাছে একটি প্রশিক্ষণস্থলে ইউক্রেনের হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করলে ৬৫ জন রুশ সেনা নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন আলদার বায়রভ (২২), ইগর বাবিচ (৩২) ও ওখুনজোন রুস্তামভ (৩১)। তারা ৩৬তম মোটর রাইফেল ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন এবং সেদিন তাদের একটি পদক প্রদানের জন্য সারিবদ্ধ হতে বলা হয়েছিল।


বায়রভ পূর্ব সাইবেরিয়ার বুরিয়াতিয়া অঞ্চল থেকে আসা এক তরুণ, খাদ্য স্যানিটেশন বিষয়ে পড়াশোনা করলেও বাধ্যতামূলক সেনাসেবার পর পেশাদার সেনা হন। রুস্তামভ ছিলেন একজন ওয়েল্ডার এবং পূর্বে বিশেষ বাহিনীতে কাজ করেছেন। বাবিচ ছিলেন একজন স্বেচ্ছাসেবী যিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক থেরাপিতে সহায়তা করতেন।

সেদিন মোট ২০১ জন রুশ সেনা নিহত হন। একই দিন সন্ধ্যায় তৎকালীন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সামনের সাফল্য নিয়ে বৈঠক করেন, তবে প্রশিক্ষণস্থলে হামলার কোনো উল্লেখ ছিল না।

২০২২ সালে রাশিয়া কমপক্ষে ১৭ হাজার ৮৯০ জন সেনা হারায়। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ হাজার ৬৩৩ জনে। ২০২৪ সালে পুরো বছরজুড়ে কোনো সময় কমেনি মৃতের সংখ্যা। অবদিইভকা, রোবোটিনে, পোক্রোভস্ক ও তোরেৎস্কের দিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলেছে ধারাবাহিকভাবে। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ধীরগতির পূর্বমুখী অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বেশি সেনা প্রাণ হারান।

মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল কফম্যান বলেন, ‘ছোট ছোট দল নিয়ে বারবার আক্রমণের কৌশল রুশ সেনার মৃত্যু হার বাড়িয়ে দিয়েছে।’

সেনা সংকট মোকাবিলায় নিয়োগ বাড়াচ্ছে রাশিয়া

২০২৪ সালের শেষার্ধে রাশিয়া সেনা নিয়োগ বাড়ায় এবং তা মৃতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক সেনাদের এককালীন প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হয়। আইনগত সুবিধার কারণে কারাবন্দিদের মধ্য থেকেও অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুদ্ধে যোগ দেন।

২০২৩-২৪ সালে হাজার হাজার চুক্তিভুক্ত স্বেচ্ছাসেবককে মাত্র ১০-১৪ দিনের স্বল্প প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। ফলে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে আসে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বাশকিরতিস্তানে। সেখানে ৪ হাজার ৮৩৬ জনের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগই ছিলেন গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা এবং ৩৮ শতাংশের কোনো সামরিক অভিজ্ঞতা ছিল না।

উন্মুক্ত উৎস থেকে মৃত্যু পরিসংখ্যান সংগ্রহের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। অনেক মৃতদেহ এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে রয়ে গেছে এবং তাদের উদ্ধার করা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের হিসেব ধরলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে।

মৃত্যুসংবাদ ও নিখোঁজের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অতিরিক্ত ২১ হাজার থেকে ২৩ হাজার ৫০০ জন নিহত হতে পারেন, যার ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জনে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২