পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে দুই দেশের আধুনিক সামরিক প্রস্তুতি ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অস্ত্রভাণ্ডার। পূর্বের তুলনায় এবার উভয় পক্ষই অনেক বেশি প্রস্তুত এবং সজ্জিত। ফলে যদি সংঘাত শুরু হয়, তাহলে তা হতে পারে ভয়াবহ পরিণতির সূচনা।
পাকিস্তান ২০২২ সাল থেকে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক জেএফ-১০সি যুদ্ধবিমান ও PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেয়েছে। অন্যদিকে ভারত ২০১৯ সালের বিমান হামলার সময় পুরনো রুশ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করলেও বর্তমানে তাদের হাতে রয়েছে ফ্রান্সের রাফাল ফাইটার জেট।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় সংঘাতে পাকিস্তান এফ-১৬ নয়, বরং জেএফ-১০সি দিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চীনের কৌশলগত ভূমিকা। সরাসরি যুদ্ধ না করলেও চীন ইতোমধ্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে। অস্ত্র আমদানির ৮১ শতাংশই চীন থেকে এসেছে এবং বাইডু স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সামরিক ব্যবহারে পাকিস্তানকে সুবিধা দিচ্ছে বেইজিং।
এছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। পাকিস্তান চীনা HQ-9 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জন করেছে, ভারতের ঝুলিতে রয়েছে রুশ এস-৪০০ ও অগ্নি সিরিজ। ড্রোন ব্যবহারে পাকিস্তান তুরস্কের বাইরাকতার ও আকিঞ্চি ড্রোন নিয়েছে, ভারত ইসরায়েলি ও মার্কিন ড্রোনে নির্ভর করছে।
এই উত্তেজনা যদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়, তবে তা শুধু উপমহাদেশ নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। মূল প্রশ্ন এখন—চীন কি এই উত্তেজনায় স্থিতিশীলতা আনবে, নাকি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?