কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান বাণিজ্যিকভাবে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। রবিবার থেকে দেশটি তাদের ভূখণ্ড—স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ—ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় কোনো দেশ থেকেও পাকিস্তানের মাধ্যমে ভারতে পণ্য পাঠানো যাবে না।
পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যেসব পণ্যের জন্য আগেই ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানি বন্দরে ঢুকতে পারবে না। একইভাবে, পাকিস্তানি জাহাজও ভারতের কোনো বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। পাকিস্তানের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের ‘পোর্টস অ্যান্ড শিপিং উইং’ জানায়, সাম্প্রতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়েই এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যতিক্রমী কোনো আবেদন হলে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে।
এ ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শীতল হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের বাণিজ্যিক বাধা দীর্ঘমেয়াদে উভয় দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলও এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে সংযত আচরণ এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?