দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের চলমান সংঘর্ষে গাজার রাফাহ শহরে টানেলের মুখে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে দুই ইসরাইলি সেনা নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রাণহানির সংখ্যা ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৪ মে) রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি ভবনের ভেতরে থাকা সুড়ঙ্গপথে সেনা সদস্যরা স্ক্যানিং চালানোর সময় হঠাৎ করে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ইয়াহালোম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের ক্যাপ্টেন নোয়াম রভিদ (২৩) এবং স্টাফ সার্জেন্ট ইয়ালি সেরর (২০) নিহত হন। আহত দুই সেনার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে আরও একটি পৃথক ঘটনায় ইসরাইলের জেরুজালেম ব্রিগেডের এক রিজার্ভ সেনা গুরুতর আহত হন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, কীভাবে তিনি আহত হয়েছেন তা তদন্তাধীন রয়েছে। একইদিন গাজা সিটির অন্তত দুটি এলাকায় ইসরাইলি সেনা ছাউনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যাতে আরও দুই সেনা আহত হন। একটি ঘটনায় ট্যাংকের গোলা সময়ের আগে বিস্ফোরিত হলে একজন সেনা আহত হন। অপরজন গাজার তুফাহ এলাকায় সম্ভবত একটি মর্টার শেলে আহত হন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের একটি বড় ধরনের প্রতিরোধ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল গাজায় নিস্তরঙ্গ হামলা ও অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে একটি দীর্ঘস্থায়ী মানবিক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করছে।
তেল আবিব সরকার গাজায় তাদের ঘোষিত রাজনৈতিক ও সামরিক লক্ষ্য অর্জনে এখনও কার্যকরভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তথাপি গাজার নাগরিক সমাজকে কেন্দ্র করে চালানো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ ছাড়িয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চলমান হামলায় অবকাঠামো বিধ্বস্ত, খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপদ পানির সংকটে গাজা একটি মানবিক শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিনিয়ত উদ্বেগ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি সত্ত্বেও যুদ্ধ থামানোর কোনো কার্যকর উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান নয়।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?