কন্নড় চলচ্চিত্র জগতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন আইটি সেল প্রধান রম্যা, যিনি দিব্যা স্পন্দনা নামেও পরিচিত, সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কোনও সমস্যার সমাধান নয়। বরং সরকারের উচিত এমন হামলা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বেঙ্গালুরুতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রম্যা বলেন, “আমি কোনও ধরনের হিংসার পক্ষে নই। যুদ্ধ কখনওই সমাধান হতে পারে না। আমরা নেতাদের বেছে নিই আমাদের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু ব্যর্থতার দায়ে যুদ্ধ ঘোষণা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারান আমাদের সৈনিকরাই।”
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে এক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে রম্যা শান্তির বার্তা দেন এবং বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি হিংসা কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব হলো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো।”
রম্যার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৬ সালে পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান নরক নয়।” এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনি জানান, সফরকালে পাকিস্তানের মানুষ তাঁদের ভারতীয়দের মতোই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছিল। এর জেরে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগও আনা হয় এবং ডানপন্থী শিবির তাঁকে “দেশবিরোধী” বলে আক্রমণ করে।
এই ঘটনায় নিজের অবস্থান থেকে সরে না এসে রম্যা একটি ব্লগে লেখেন, “যেখানে খুনের মতো অপরাধে মানুষ ছাড় পায়, সেখানে যারা শান্তির কথা বলে, তাদেরই টার্গেট করা হয়—এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও আইরনিক।”
২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বর্তমানে আবার সিনেমার জগতে ফিরতে প্রস্তুত হচ্ছেন।
রম্যার মন্তব্য সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এক ভিন্ন কণ্ঠস্বর হিসেবে ধরা দিয়েছে—যেখানে যুদ্ধের ডামাডোলের মাঝেও কেউ কেউ শান্তির পক্ষে সওয়াল করছেন।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?