লোহিত সাগর এখন ইয়েমেনি প্রতিরোধের অপ্রতিরোধ্য শক্তির সামনে পশ্চিমা দখলদার বাহিনীর লজ্জার উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মার্কিন সামরিক অহংকার গুড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি জানান, মার্কিন রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান ও তার এসকর্টকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের সম্মিলিত হামলা। আতঙ্কে উত্তর দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এইসব বাহিনী। ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোনের সুনিপুণ আঘাত আমেরিকার ‘নিরাপত্তার কিংবদন্তি’কে মুহূর্তে ভেঙে দিয়েছে।
এতেই শেষ নয়—দখলদার ইসরাইলকেও ছেড়ে কথা বলেনি ইয়েমেনি যোদ্ধারা। সারিয়ি জানিয়েছেন, উন্নত ‘ইয়াফা’ ড্রোন ব্যবহার করে আশকেলন শহরের কৌশলগত অবস্থানে আঘাত হানা হয়েছে। ফিলিস্তিনের রক্তের প্রতিশোধ নিতে ইয়েমেনি হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
এইসব অভিযান গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার জবাব এবং ইয়েমেনের সানা ও সা’দাতে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিশোধ বলে সারিয়ি জানান।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের পরাজয় ঢাকতে ব্যস্ত। মার্কিন নৌবাহিনী স্বীকার করেছে, হ্যারি এস ট্রুম্যান রণতরী থেকে একটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সাগরে পড়ে গেছে। ঘটনা ‘দুর্ঘটনা’ বলে ব্যাখ্যা দিলেও সূত্র বলছে, ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে রণতরী বড় বাঁক নেওয়ার সময় ভারসাম্য হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ৬ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান সাগরের তলদেশে হারিয়ে গেছে।
আরও উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে এএফপি। তারা জানিয়েছে, মধ্য মার্চ থেকে ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনের সময়ে আমেরিকা ইতিমধ্যে সাতটি অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ ড্রোন হারিয়েছে। প্রতিটির দাম তিন কোটি ডলারের বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়েমেন এখন লোহিত সাগরে কেবল প্রতিরোধের প্রতীক নয়—পশ্চিমাদের সামরিক অহংকার ভেঙে চুরমার করার জ্বলন্ত শক্তি।
যুদ্ধ চলছেই, তবে ময়দান কে দখলে রেখেছে তা আজ আর কারও অজানা নয়। ওয়াশিংটন আর তেলআবিবের মাথার ওপর এখন ইয়েমেনের আকাশ ছায়া ফেলছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?