কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
ইসলামাবাদে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন,
“বর্তমানে আমরা এমন এক পর্যায়ে এসেছি, যেখানে ভারতের সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবিলায় আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পাকিস্তান তার ভূখণ্ডের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা কৌশলগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জাতির স্বার্থরক্ষায় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্রয়োজন হলে উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।”
আঞ্চলিক সমর্থন ও কূটনৈতিক তৎপরতা
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই বন্ধুসুলভ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে এবং চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক সমর্থন ও আঞ্চলিক সহযোগিতার এই নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
চীন ইতোমধ্যে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ পাকিস্তানের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেছে।
সম্মানিত প্রতিরক্ষা নীতির প্রতিচ্ছবি
পাকিস্তান সরকার বারবার স্পষ্ট করেছে, তারা যুদ্ধ চায় না। তবে আক্রমণ হলে যথোপযুক্ত প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন,
“পাকিস্তান কখনোই যুদ্ধপ্রবণ রাষ্ট্র নয়। কিন্তু জাতীয় মর্যাদা ও ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র দেশের অস্তিত্ব সরাসরি হুমকির মুখে পড়লে বিবেচিত হবে।”
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অতীতের মতো এবারও পাকিস্তান দৃঢ় মনোবলে সমান প্রতিরোধ দেখাবে। ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯ সালের মতো পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার প্রতিফলন ঘটার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্যালোচনা
ভারতের সম্ভাব্য আগ্রাসনের মোকাবিলায় পাকিস্তানের সুসংগঠিত প্রস্তুতি, আন্তর্জাতিক সমর্থন ও জনমতের বলিষ্ঠ সমর্থন ভবিষ্যতের যেকোনো চ্যালেঞ্জ জয় করার আভাস দিচ্ছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?