পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক PL-15 দূরপাল্লার আকাশ থেকে আকাশে হামলার মিসাইল সরবরাহ শুরু করেছে বেইজিং। এই মিসাইল চীনের বিমানবাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে পরিচিত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানে পাঠানো PL-15 মিসাইল সহজেই ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই পাকিস্তানের সামরিক শক্তি কয়েকগুণ বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে চীন।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল চীন। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে নিরপেক্ষতার কথা বলছে, সেখানে চীন সর্বশক্তি নিয়ে মিত্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে বেইজিং।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঘোষণা করেছেন, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাবকে সমর্থন জানায় চীন। একইসঙ্গে ভারতকে সরাসরি বার্তা দিয়েছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সংযত থাকার জন্য। শুধু কূটনৈতিক সমর্থনই নয়, সামরিকভাবেও পাকিস্তানকে শক্তিশালী করতে এগিয়ে এসেছে চীন।
রবিবার ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। ওই আলোচনায় তিনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে সমর্থনের কথা জানান এবং কাশ্মীর পরিস্থিতিতে ভারতকে সংযত থাকার আহ্বান জানান। চীনের মতে, ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব কাশ্মীর ও সংলগ্ন অঞ্চলের শান্তি বিনষ্ট করতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর মতে, অতীতেও পাকিস্তানের পাশে ছিল চীন, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে। এই সরাসরি সমর্থন এবং PL-15 মিসাইল সরবরাহের খবরে দিল্লিতে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। দুই দেশের শক্তি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, কৌশলগতভাবে পাকিস্তান এখন অনেকটাই এগিয়ে, বিশেষ করে চীনের সরাসরি সহায়তায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমশই জোরালো হচ্ছে, আর চীনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ভারসাম্য স্পষ্টভাবেই পাকিস্তানের পক্ষে ঝুঁকছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?