গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমিতে একটি কৌশলগত সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে সফল প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে।
শনিবার ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি এক বিবৃতিতে জানান, বেয়ারশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রতিহত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার সারিয়ি আরও জোর দিয়ে বলেন,
“আমাদের দেশের ওপর মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি অবিচল সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”
ইয়েমেনের উচ্চপদস্থ এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরাইলের পক্ষ থেকে গাজা উপত্যকায় অবরোধ ও আগ্রাসন পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনি বাহিনীর সামরিক অভিযান থামবে না।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতা এবং ইয়েমেনের ওপর মার্কিন ও ব্রিটিশ আগ্রাসনের জবাবে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরসহ সংলগ্ন সমুদ্রপথে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে ইয়েমেনিরা কৌশলগত সামুদ্রিক রুটগুলিতে অবরোধ আরোপ করে ইসরাইলের সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে, ইয়েমেনি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজায় চলমান মানবিক সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলে এ হামলার প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যত প্রভাব এখন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?