বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইরানের হাতে অতি গোপনীয়-এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র: জেনারেল কিউমার্স

ইরানের সেনাবাহিনী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (AI) অতি গোপনীয় অস্ত্র প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পদাতিক বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওউমার্স হেইদারি। গত শনিবার আল–আলম টিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জেনারেল হেইদারি বলেন, “আমাদের কাছে এমন কিছু অতি আধুনিক অস্ত্র রয়েছে, যেগুলোর কৌশলগত গুরুত্ব এতটাই বেশি যে এখনো তা জনসমক্ষে আনা হয়নি। এই অস্ত্রগুলো কৃত্রিম […]

ইরানের হাতে অতি গোপনীয়-এআই সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র: জেনারেল কিউমার্স

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:২১

ইরানের সেনাবাহিনী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (AI) অতি গোপনীয় অস্ত্র প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পদাতিক বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওউমার্স হেইদারি।

গত শনিবার আল–আলম টিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জেনারেল হেইদারি বলেন,

“আমাদের কাছে এমন কিছু অতি আধুনিক অস্ত্র রয়েছে, যেগুলোর কৌশলগত গুরুত্ব এতটাই বেশি যে এখনো তা জনসমক্ষে আনা হয়নি। এই অস্ত্রগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে বিপুল কার্যকারিতা রয়েছে। সেগুলো এখনো প্রচলিত অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হলেও এগুলোর প্রযুক্তি এবং ব্যবহারযোগ্যতা অত্যাধুনিক।”

তিনি বলেন,

“আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুপক্ষের যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা জানি আমাদের সামনে কারা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা তাদের তুলনায় অনেক বেশি।”

ইরাক-ইরান যুদ্ধ (১৯৮০–১৯৮৮) পরবর্তী সময়ে ইরানের সামরিক কৌশল ও বাহিনীগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বলে জানান হেইদারি।

তিনি বলেন,

“বর্তমানে ইরানের পদাতিক বাহিনী উচ্চ গতিতে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন হতে পারে। আমাদের রয়েছে ঝটিকা হামলার পূর্ণ প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়াশীল হামলা চালানোর সক্ষমতা।”

এই প্রেক্ষাপটে ইরানের নতুন রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানও সম্প্রতি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের সামরিক বাহিনী শুধু ইরানের জন্য নয়, গোটা পশ্চিম এশিয়ার জন্য একটি আদর্শ শক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে। তারা এখন প্রতিরোধ, নিরাপত্তা এবং আত্মরক্ষার এক অপ্রতিরোধ্য প্রতীক।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই প্রযুক্তিনির্ভর সামরিক প্রস্তুতি শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তার ভারসাম্যই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো শক্তিধর দেশগুলোর জন্যও স্পষ্ট বার্তা বহন করে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের এই সামরিক শক্তি পুনরায় আলোচনায় এসেছে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরোধ কাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশটি অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি নির্ভর করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধবিমান এবং উন্নত ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করেছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন গোপন অস্ত্রের তথ্য সেই শক্তির আরেকটি স্তর প্রকাশ করছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে ইরানের এই অবস্থানকে শক্তিশালী করতে নতুন এই অস্ত্র প্রযুক্তি এবং প্রতিরোধ কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে গাজা, ইয়েমেন, লেবানন ও ইরাকের প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে ইরানের সমন্বয় এবং নেতৃত্ব মধ্যপ্রাচ্যকে একটি বহুমুখী প্রতিরোধ জোটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান এই ধরনের ঘোষণার মাধ্যমে শুধু প্রতিপক্ষকে বার্তা দিচ্ছে না, বরং নিজের মিত্র ও অঞ্চলজুড়ে প্রতিরোধ ফ্রন্টের মনোবলও দৃঢ় করছে। ফলে এই ঘোষণাকে নিছক সামরিক কৌশল হিসেবে নয়, বরং একটি কূটনৈতিক শক্তি প্রদর্শন হিসেবেও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫