বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিন কে ধ্বংস করতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

গাজায় হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এক ভাষণে তিনি বলেন, “ইসরায়েলের জয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।” আল জাজিরা ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১১

গাজায় হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এক ভাষণে তিনি বলেন, “ইসরায়েলের জয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।”

আল জাজিরা ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে,

নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, “যখন আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য চরম মূল্য দিতে হচ্ছে, তখন একমাত্র বিকল্প হলো জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।”

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুধু শনিবারের হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৫২ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মাসে চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে, আর আহত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই অবস্থা ‍গণহত্যার পর্যায়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও অন্যান্য সংস্থাগুলো একাধিকবার গাজায় অবরোধ, অব্যাহত হামলা ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে উদ্বেগ জানালেও ইসরায়েলের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

সামরিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এএফপি জানিয়েছে, বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী ১৮৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যা গাজার মোট ভূখণ্ডের প্রায় ৫০ শতাংশ।

খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত গাজার ভেতরে তিনটি পৃথক করিডর তৈরি করেছে—ফিলাডেলফি করিডর, মোরাগ করিডর এবং নেতজারিম করিডর। এই করিডরগুলো গাজার ভূখণ্ডকে ভৌগোলিকভাবে ভাগ করে ফেলেছে, যার ফলে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাতায়াত কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একধরনের “সর্বাত্মক বিভাজন কৌশল”, যার মাধ্যমে গাজার জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত না থাকার পাশাপাশি যেভাবে নেতানিয়াহু জয়ের আগে থামবেন না বলে দৃঢ় ঘোষণা দিয়েছেন, তা ভবিষ্যতে সংঘর্ষকে আরও দীর্ঘায়িত করবে এবং মানবিক বিপর্যয়ের মাত্রাও তীব্রতর হবে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী শেষ হয়ে গেছে। শিশুরা অপুষ্টি ও যুদ্ধজনিত ট্রমায় ভুগছে। হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছে।

আন্তর্জাতিক মহলে এই পরিস্থিতি ঘিরে চাপ বাড়লেও, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পশ্চিমা দেশের সরাসরি সহায়তা ও নীরব সমর্থনের ওপর ভর করে নিজেদের অভিযানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই’ হিসেবে তুলে ধরছে।

ফিলিস্তিনপন্থী দেশগুলো, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও ইসলামি সংগঠন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ICC) তদন্ত দাবি করে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো রাজনৈতিক চাপ কিংবা যুদ্ধবিরতির সফল উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।

গাজার জনগণ এখন চরম মানবিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। জাতিসংঘ বারবার মানবিক করিডর খোলার আহ্বান জানালেও, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের কারণে তা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।

এই অবস্থায় যুদ্ধ কবে শেষ হবে, কিংবা কোনো পক্ষ সমঝোতায় আসবে কি না—তা এখনো অনিশ্চিত। তবে স্পষ্টভাবে বলা যায়, এই যুদ্ধ আর শুধুমাত্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি এখন এক ভয়াবহ মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে অনুভূত হবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০