রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

লেজার প্রযুক্তিতে অগ্রগামী দেশ ইরান

লেজার প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতির মাধ্যমে ইরান এশিয়া এমনকি গোটা বিশ্বেই বিশেষ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। লেজার প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক ও প্রতিরক্ষা গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শিল্প ক্ষেত্র থেকে শুরু করে উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত সর্বত্রই এর বিস্তৃত প্রয়োগ রয়েছে। পার্সটুডের তথ্য বলছে, ইরান এই ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং লেজার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪০

লেজার প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতির মাধ্যমে ইরান এশিয়া এমনকি গোটা বিশ্বেই বিশেষ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। লেজার প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক ও প্রতিরক্ষা গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শিল্প ক্ষেত্র থেকে শুরু করে উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত সর্বত্রই এর বিস্তৃত প্রয়োগ রয়েছে।

পার্সটুডের তথ্য বলছে, ইরান এই ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং লেজার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

যেভাবে শুরু

ইরান ১৯৭০ সাল থেকে লেজার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড় কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে লেজার গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়। এই সময়ের মধ্যে নানা ধরণের লেজার তৈরি করেছে। গ্যাস লেজার, সেমিকন্ডাক্টর লেজার এবং বিভিন্ন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজারসহ বিভিন্ন ধরণের লেজার উৎপাদনে দক্ষতা অর্জন করেছে। ২০১৭ সালের মিউনিখ প্রদর্শনীর মতো আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতেও অংশগ্রহণ করেছে ইরান। মৌলিক প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের অংশ হিসেবে এ ক্ষেত্রেও ইরান অগ্রগামী হয়েছে।

অর্জনসমূহ

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইরান সফলভাবে ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন লেজারের পরীক্ষা চালায়, যা ইরানকে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। এছাড়া, ইরান ২০২২ সালে বিনা লেজার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ‘বিনা’ এর পরীক্ষা চালিয়েছে, যা সামরিক অস্ত্রে লেজার প্রযুক্তি সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে দেশটির ক্ষমতার নিদর্শন হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে ইরানের ৫ম লেজার, ফোটোনিক্স এবং কোয়ান্টাম প্রদর্শনীতে লেজার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনটি নতুন সাফল্য তুলে ধরেছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে ইরান “সুরুজ” লেজার-ভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষার চালায়, যা আকাশ পথে শত্রুদের হুমকি থেকে সংবেদনশীল অবকাঠামোকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অবস্থান

অন্যায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান লেজার প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর (যেমন চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইরান প্রতিরক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার তৈরি করেছে।

আঞ্চলিক অবস্থান

প্রতিরক্ষা এবং গবেষণার জন্য উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার তৈরিতে ইরানের দক্ষতা ও সক্ষমতা ইরানকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। “সুরুজ” এবং “সাইলেন্ট হান্টার” এর মতো লেজার-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে সাফল্য ইরানকে এশিয়ার অগ্রণী দেশ হিসেবে সবার কাছে তুলে ধরেছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ইরান লেজার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। চিকিৎসা, যোগাযোগ এবং জ্বালানিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে ব্যাপক গবেষণা চলছে। ইরানে মানুষের নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমাতে এবং কাজের মান উন্নত করতে লেজার ব্যবহার করা হয়। এই খাতে ইরানের দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এ কারণে ভবিষ্যতে ইরান আরও অনেক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।#

পার্সটুডে

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯