পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা যখন ক্রমশ চরমে উঠছে, তখন ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম এক কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, শত্রুরা যদি সমুদ্রে সংঘর্ষ চায়, তবে আল্লাহর সাহায্যে ইরান সেই শয়তানকে ফেরাউনের মতোই ডুবিয়ে মারবে।
নৌবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে শাহরাম দাবি করেন, ইরানের নৌ ও প্রতিরক্ষা বাহিনী বর্তমানে সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, “আজ আমাদের শত্রুরাও ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনী ও কৌশলগত নৌবাহিনীকে একটি পরাশক্তি হিসেবে গণ্য করে।”
ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)-এর শীর্ষ নৌ কমান্ডার আলীরে তাংসিরীও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ইরানে হামলা চালানো হয়, তবে তেহরান তার জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তিনি জানান, ইরান শুধু নিজেদের ভূখণ্ডেই নয়, প্রয়োজনে মেক্সিকো উপসাগর পর্যন্ত শত্রুদের ধাওয়া করতে পারবে। “আমরা আমাদের সব শত্রুঘাঁটিতে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখি। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, কেউই রেহাই পাবে না,” বলেন তাংসিরী।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
তবে তেহরান জানিয়েছে, তারা এই চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। এই পরিস্থিতিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র একটি পরোক্ষ বৈঠকে বসেছে, যদিও তাতে উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনো স্পষ্ট নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান তার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাও চলছে।
তবে এই সংকট আদৌ আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসিত হবে, নাকি সরাসরি সংঘর্ষের দিকে গড়াবে—তা এখনো সময়ের ব্যাপার।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?