ইসরায়েলি-অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা এলাকায় নতুন করে মোবাইল হোম বসাতে শুরু করেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে খিরবেত উম আল-খাইর নামক একটি গ্রাম, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরের কাছাকাছি স্থাপন করা হচ্ছে এসব ঘর। এ সংক্রান্ত একাধিক ছবি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, এসব অস্থায়ী বসতিকে ‘মোবাইল হোমস’ বলা হচ্ছে। ইসরায়েলি দখলকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণ অংশে এসব নির্মাণকাজে ক্রেন ট্রাক ব্যবহার করে দ্রুত স্থাপন করা হচ্ছে মোবাইল ঘর।
বেদুইন অধিকার নিয়ে কাজ করা আল-বাইদার অর্গানাইজেশন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে বসানো হয়েছে এসব ঘর। অনলাইনে প্রকাশিত স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে, কন্টেইনার বহনকারী ক্রেন ট্রাক এলাকায় অবাধে চলাচল করছে।
প্রসঙ্গত, অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এ এই মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনসংগ্রামই উঠে এসেছিল মূল বিষয়বস্তু হিসেবে।
বিবিসির তথ্যমতে, জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখলের পরপরই ইসরায়েল এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন শুরু করে। এরপর থেকে একে একে সব সরকারই এ বসতি সম্প্রসারণকে অনুমোদন দিয়ে আসছে।
বর্তমানে, ইসরায়েলি-অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম বাদে পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করছেন ৫ লাখ ইসরায়েলির পাশাপাশি, যারা বসতি গড়েছেন ১৩০টিরও বেশি এলাকায়।
এই বসতি স্থাপন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত হলেও ইসরায়েল তা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করে আসছে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?