মিয়ানমারে শুক্রবার সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুর মিছিল থামছে না—সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৭১৯ জনে। আহত হয়েছেন ৪,৫২১ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪৪১ জন। এই বিপর্যয় দেশটিকে গভীর মানবিক সংকটে ঠেলে দিয়েছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানী নেপিডোতে একটি অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান জান্তা-নিয়ন্ত্রিত রাজ্য প্রশাসন পরিষদের চেয়ারম্যান মিন অং হ্লাইং। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্যোগে আন্তর্জাতিক সহানুভূতির অভাব এবং প্রতিবেশী শক্তিগুলোর নিষ্ক্রিয়তা মিয়ানমারের মানবিক বিপর্যয়কে আরও জটিল করে তুলছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরাসরি জরুরি সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এদিকে, আহত ও নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ, ধ্বংস হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো। জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণের অভাবে দুর্গত এলাকায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
এই মুহূর্তে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং মানবিক নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক। তবে ভারত বা চীনের মতো আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলো এখনো বড় পরিসরে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি—যা তাদের ভূ-রাজনৈতিক দায়িত্বহীনতাকেই স্পষ্ট করে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দুই দফায় সেনা ও বিমান বাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ত্রাণ, চিকিৎসা ও উদ্ধার সহায়তা পাঠিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ শুধু বাংলাদেশের মানবিক চেতনার প্রকাশ নয়, বরং একটি উদীয়মান আঞ্চলিক নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?