বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে ভূমিকম্প-আক্রান্ত মানুষের জন্য টানা দ্বিতীয় দফায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে—যা শুধু কূটনৈতিক নয়, আঞ্চলিক নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিপর্যয়ের সময় বাংলাদেশ কেবল প্রতিবেশী নয়, মানবিক নেতৃত্বের এক শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি নির্দেশনায় মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে দ্বিতীয় দফায় জরুরি ত্রাণ ও ওষুধ পাঠানো হয়। তিনটি পরিবহন বিমানে ৫৫ জন চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মীর একটি অভিজ্ঞ দল এবং ৩৭ জন বিমান ক্রু অভিযানে অংশ নেন। এই ত্রাণ মিশনে আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন বিশুদ্ধ পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং দেড় টন তাঁবু পাঠানো হয়েছে।
এই তৎপরতা বাংলাদেশের বদলে যাওয়া ভূরাজনৈতিক অবস্থানের পরিচায়ক—যেখানে দুর্যোগে নেতৃত্ব, সংকটে সংহতি এবং আঞ্চলিক দায়িত্বশীলতার বার্তা দিচ্ছে ঢাকা।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত উদ্ধার ও চিকিৎসা দল তৎপরতা চালাবে। মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রথম দফার মিশনও রোববার পাঠানো হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে প্রথম ধাপে ওষুধ, তাঁবু ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন অনেক আঞ্চলিক শক্তি শুধু বিবৃতি দিয়ে দায় সেরে নিচ্ছে, বাংলাদেশ তার সামর্থ্য দিয়ে প্রমাণ করছে—আন্তর্জাতিক মানবিকতার এক নতুন ঠিকানা এখন ঢাকা। এই উদ্যোগ শুধু মানবিক সহায়তা নয়, একটি নতুন আঞ্চলিক নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরিণত কৌশলও।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?