পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান টানা তৃতীয়বারের মতো ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেন কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হলেও কড়া নিরাপত্তার কারণে ইমরান খান ঈদের জামাতে শরিক হতে পারেননি। কারাগারের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হলেও তাকে সেই জামাতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ঈদের দিন স্ত্রী বুশরা বিবিও নিজ সেলে অবস্থান করেন। উল্লেখ্য, তিনি একই কারাগারে বন্দি রয়েছেন। অন্যদিকে কারাগারের অন্যান্য সাধারণ ও বিচারাধীন বন্দিরা এবং কারা কর্তৃপক্ষ ঈদের নামাজে অংশ নেন।
আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ ঈদ উপলক্ষে ইমরান খানকে কিছু সামান্য উপহার দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চার সেট নতুন পোশাক, একটি কোমরকোট, এবং এক জোড়া জুতা।
ঈদকে কেন্দ্র করে পিটিআই নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য বিক্ষোভ মোকাবিলায় কারাগারে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। কারাগার চত্বর ঘিরে ৮টি অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রায় ২০০ জন অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন ছাড়াও অ্যান্টি-রায়ট গিয়ার ও একটি রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়।
ঈদের দুদিন আগে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ইমরান খানকে কিছু বই সরবরাহ করতে হবে এবং তাকে তার সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। তবে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ঈদের দিন সন্তানদের সঙ্গে ইমরানের সাক্ষাৎ হয়নি।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস, রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রিসহ প্রায় ১০০টি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দি রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে বর্তমানে এক অস্থিতিশীল ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে দেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী ঈদুল ফিতরের মতো ধর্মীয় উৎসবেও নিঃসঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন—তা নিঃসন্দেহে একটি দুঃখজনক রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?