নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মনোনীত করা হয়েছে। মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার কারণেই তাকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) ভোরে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ)-এর সদস্যরা এই খবর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
পিডব্লিউএ-এর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও তিনি এই পুরস্কার পাননি।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে কর্তৃত্বের অপব্যবহার ও দুর্নীতি সম্পর্কিত একটি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইমরান খান শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবেও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। তার স্ত্রী বুশরা বিবিকেও দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ইমরান খানকে ১০ লাখ ও বুশরা বিবিকে ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়।
যদিও পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল ২০২৩ সালের মে মাসে এই মামলায় আদালত চত্বর থেকে ইমরানের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিলেন। এরপর লাহোর হাই কোর্ট ইমরানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত থাকার কারণে তিনি এখনও জেল থেকে মুক্তি পাননি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইমরান খানের এই মনোনয়ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। বিশেষ করে পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির আলোকে তার মনোনয়নকে অনেকেই সমর্থন জানাচ্ছেন। তবে পাকিস্তানের সরকার এবং ইমরান খানের বিরোধীদের মধ্যে এই বিষয়ে বিরোধিতা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?