গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১০ শিশু শহীদ হচ্ছে বলে নতুন এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংস্থা (আনরোয়া)। ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরও বেড়ে গিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আনরোয়ার প্রকাশিত সর্বশেষ সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ১৮ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে শুধুমাত্র গাজায় ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে শুধু ১৮ মার্চেই গাজায় ১৮০টিরও বেশি শিশুকে শহীদ করা হয়েছে। এ দিনটি গত এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত দিনগুলোর একটি হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী গাজার উপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই অবরোধ চলমান রয়েছে এবং তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধে আরোপিত অবরোধের তুলনায় এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেছে এবং এর ফলে গাজায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
আনরোয়া তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, দখলদার ইসরাইলের নৃশংস সামরিক অভিযান অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর থেকে এটি সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অভিযান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এর ফলে ১৯৬৭ সালের পর ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটছে।
আনরোয়া গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এবং উপত্যকায় মানবিক সাহায্যের প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষার জন্য যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরাইলের এই দখলদারিত্বমূলক নীতির কারণে গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় ফিলিস্তিনিদের এই দুঃসহ পরিস্থিতির সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?