স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা বার্তাটি প্রকাশ করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, “আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে, আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই পরিবর্তনের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বর্ধিত নিরাপত্তার জন্য সক্ষমতা তৈরির একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আসন্ন এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারব এবং ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারব।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে দেখতে চায়।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই শুভেচ্ছা বার্তায় কৌশলগত বার্তাও স্পষ্ট। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, স্বাধীনতা দিবসের মতো একটি জাতীয় উপলক্ষে এমন শুভেচ্ছা বার্তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?