অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নতুন করে চালানো বর্বরোচিত আগ্রাসনে দখলদার শাসকগোষ্ঠীর যুদ্ধবিমান এ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে বোমা হামলা চালিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নতুন করে চালানো বর্বরোচিত আগ্রাসনে দখলদার শাসকগোষ্ঠীর যুদ্ধবিমান এ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে বোমা হামলা চালিয়েছে।
গতকাল (শনিবার) রাতে নতুন করে চালানো হামলায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান রাফাহর পূর্বে আল-জিনা এলাকা,খান ইউনিসের আল-মানারা আল-মাওয়াসি এবং আল-ফাখারি এলাকা এবং উত্তর গাজা উপত্যকার আল-বাদাউইয়া এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে বোমা হামলা চালিয়েছে যার ফলে কমপক্ষে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু এবং মহিলা। পার্স টুডে’র খবরে বলা হয়েছে,আজ রোববার সকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে।
গাজায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৪৯,৭৪৭ জনে দাঁড়ালো
এই প্রসঙ্গে গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার ঘোষণা করেছে যে, গত ৪৮ ঘন্টায় ১৩০ জন শহীদ এবং ২৬৩ জন আহত ফিলিস্তিনির মৃতদেহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা ৬৩৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১,১৭২ জন। এর ফলে ২০২৩ সাল থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় শহীদের সংখ্যা ৪৯,৭৪৭ জন এবং আহতের সংখ্যা ১,১৩,২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
খান ইউনিসে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যের শাহাদাত
অন্য খবরে বলা হয়েছে,ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো এবং ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য সালাহ আল-বারদাউইল আজ রোববার সকালে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় তাদের তাঁবুতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলায় তার স্ত্রীসহ শহীদ হয়েছেন। হামাস আন্দোলন আল-বারদাউইলের শাহাদাতের প্রতি অভিনন্দন ও সমবেদনা জানিয়ে হামাস একটি বার্তা জারি করেছে যেখানে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে শহীদ আল-বারদাউইল এবং তার স্ত্রীর রক্ত এবং সকল শহীদের রক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আগুনকে অব্যাহত রাখবে এবং দখলদার শাসকগোষ্ঠী আমাদের সংকল্প ও অবিচলতাকে দুর্বল করতে পারবে না।
হামাস: যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে মধ্যস্থতাকারীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে
এদিকে,হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ কানোয়া বলেছেন, “গত মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবারও সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। এই হামলার ফলে অধিকৃত ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং ক্ষুব্ধ ইহুদিবাদীরা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নীতির প্রতিবাদে অধিকৃত জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেছে এবং গাজায় অবশিষ্ট ইহুদিবাদী বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের সাথে একটি চুক্তির দাবি জানিয়েছে।
নেতানিয়াহু-বিরোধী বিক্ষোভ
গত মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আবারও সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। এই হামলার ফলে অধিকৃত ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং ক্ষুব্ধ ইহুদিবাদীরা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নীতির প্রতিবাদে অধিকৃত জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেছে এবং গাজায় অবশিষ্ট ইহুদিবাদী বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের সাথে একটি চুক্তির দাবি জানিয়েছে।
সুত্রঃ পার্সটুডে

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?