মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন। সম্প্রতি মেক্সিকো সিটির জাতীয় প্রাসাদে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানান। সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপিত হবে। এই মাইলফলক বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে ঢাকায় মেক্সিকান দূতাবাস খোলার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য অনুরোধ জানান। তার মতে, মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপন হলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও অর্থবহ হবে। তিনি এই সম্পর্ককে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে মেক্সিকান সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মেক্সিকো বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে আগ্রহী।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত ঐতিহাসিক জাতীয় প্রাসাদ, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন পরিদর্শন করেন। দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের শুরুতে এই আয়োজনকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?