ফিলিস্তিনিদের ওপর নেতানিয়াহুর আক্রমণে আমরা সহযোগী হতে পারি না,মার্কিন কংগ্রেসম্যান গ্রেগ ক্যাসার
মার্কিন কংগ্রেসম্যান গ্রেগ ক্যাসার সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের আক্রমণে সহযোগী হতে পারে না।
ক্যাসার উল্লেখ করেছেন যে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অসম্মানজনক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্যাসারের এই অবস্থান মার্কিন রাজনীতিতে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। কংগ্রেসে প্রগতিশীল বাম-ধারার সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনের ফলে আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজের মতো রাজনীতিবিদ নির্বাচিত হয়েছেন, যারা ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে স্পষ্টভাবে অবস্থান নিয়েছেন।
এই পরিবর্তনের পেছনে ভারমন্টের ডেমোক্র্যাট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যান্ডার্স ষাটের দশকে ইসরায়েলে বসবাস করেছিলেন এবং প্রথমে ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তবে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেন।
নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে সমালোচনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী ও মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর চরমপন্থি সরকার ফিলিস্তিনে সহায়তা বন্ধ করে রেখেছে, যার ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু অনাহারের শিকার হচ্ছে।
এছাড়া, ২০২৪ সালের নভেম্বরে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে না পারায় বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে নৃশংসতা বন্ধ করতে না পারা বাইডেন প্রশাসনের একটি গুরুতর ভুল, যা বিশ্বব্যাপী আমেরিকান বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করেছে।
মার্কিন কংগ্রেসে এই ধরনের সমালোচনা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে। গ্রেগ ক্যাসার এবং অন্যান্য প্রগতিশীল নেতাদের এই অবস্থান ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?