ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো সংঘর্ষ চলেছে। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ব্যাপক পাথর ছোড়াছুড়ি, দোকান ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল নাগপুরের মহাল এলাকায় একটি বিক্ষোভ জমায়েত করে। ওই বিক্ষোভে আওরঙ্গজেবের একটি ছবিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভ চলাকালে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়, যাতে মুসলমান সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়।
এরই মধ্যে কিছু লোক মব সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন বাড়িতে ও দোকানপাটে পাথর ছুড়তে শুরু করে। ফলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করায় নাগপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাগপুর শহরের মহাল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের দিকেও ব্যাপক পাথর ছোড়া হয়। প্রাথমিকভাবে ছয় জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ অফিসার আহত হন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
খবরে বলা হয়, পরে রাতে কোতোয়ালি আর গণেশপেঠ এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়ায়। হাজার খানেক মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর ছোড়া ও ভাঙচুর চালায়। দোকানপাট আর গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার প্রায় ভোররাত পর্যন্ত পুলিশ নানা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করে। সহিংসতা থামাতে পুলিশ এখনো কাজ করছে বলে জানা গেছে।
কোরআন পোড়ানো সংক্রান্ত একটি অভিযোগও পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়। তবে এটি একটি গুজব। কিছু ভুল তথ্যের ফলেই এই ঘটনা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
যে অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়েছিল, সেই মহাল অঞ্চল ছাড়া শহরের অন্যান্য এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিকই আছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন। তবে পুলিশ নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে যাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে না বের হন।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?