দক্ষিণী সুপারস্টার এবং নবগঠিত রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’-এর প্রধান থালাপতি বিজয় চেন্নাইয়ে এক বিশাল ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আলোচনায় এসেছেন। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি ইসলামি পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই তার সাদা পোশাক ও মাথায় টুপি পরা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাকে মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
গত শুক্রবার (৭ মার্চ) চেন্নাইয়ের ওয়াইএমসিএ গ্রাউন্ডস, রয়াপেট্টাহ-তে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিল ছিল রাজনীতিক বিজয়ের প্রথম বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগগুলোর একটি। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে প্রায় ৩,০০০ এর বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, স্থানীয় ১৫টি মসজিদের ইমামদেরও বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, থালাপতি বিজয় শুধু ইফতারের আয়োজনই করেননি, বরং তিনি সেদিন রোজাও রেখেছিলেন। ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর তিনি নামাজেও অংশ নেন, যা তার রাজনৈতিক অবস্থান এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা গত ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং তামিলনাড়ুর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যে তার দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’ জনসাধারণের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। রাজনীতিতে তার পদচারণা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড অনেকটাই তামিল রাজনীতির ধারা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক অভিষেকের পর থেকেই বিজয়ের কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে এক ধরনের কৌশলগত পরিবর্তন। তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় সম্প্রীতির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, যা থেকে তিনি বিচ্যুত হচ্ছেন না। বরং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ও সহাবস্থানের বার্তা দিচ্ছেন। এই ইফতার আয়োজন তার সেই অবস্থানকেই আরও সুদৃঢ় করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজয়ের এই ইফতার আয়োজন তাকে তামিলনাড়ুর মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছেও জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারে। তামিল রাজনীতিতে ধর্মীয় সংহতি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ, এবং থালাপতি বিজয়ের এই উদ্যোগ সেই সংহতিকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় রাজনীতিতে ধর্মীয় সম্প্রদায়ভিত্তিক সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজয় যে ধরনের রাজনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন, তা তাকে শুধু তারকা রাজনীতিক হিসেবেই নয়, বরং এক নতুনধারার জননেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তার দল কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?