পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তার মহানুভবতার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত ১ হাজার ৫১৮ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা এই পবিত্র মাসটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন। এই মানবিক সিদ্ধান্ত দুবাইয়ের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং বন্দিদের পরিবারগুলো আশার আলো দেখতে পেয়েছে।
দুবাইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল চ্যান্সেলর ইশাম ইশা আল-হুমাইদান জানান, শেখ মুহাম্মাদের এই মহানুভবতা শুধুমাত্র আইনি সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি তার উদারতার প্রতিফলন। রমজানের পবিত্রতা ও ক্ষমার বার্তাকে সম্মান জানিয়ে এই বন্দিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুবাই পাবলিক প্রসিকিউশন পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যাতে দ্রুততম সময়ে মুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।
শেখ মুহাম্মাদের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই উদাহরণ হিসেবে দেখছেন, যা কেবল আইনি শাস্তি লাঘব নয়, বরং সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে এবং অপরাধীদের জন্য একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে, যাতে তারা পুনরায় সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।
এদিকে, আবুধাবিভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১ মার্চ থেকে আরব বিশ্বে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি আরব বিশ্বের কিছু এলাকায় চাঁদ দেখা যেতে পারে। যদি চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই রমজান শুরু হবে। তবে যদি চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে ২ মার্চ থেকে শুরু হবে পবিত্র এই মাস।
আরবি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস রমজান মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস, যখন সারা বিশ্বের মুসলিমরা সংযম পালন করেন এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন। এই মাসটি কেবল আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের জন্য নয়, বরং দান-খয়রাত ও সমাজের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোরও সময়। শেখ মুহাম্মাদের এই সিদ্ধান্ত সেই মানবিকতারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তার এই উদ্যোগ শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে নয়, বরং সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে, যা দানশীলতা ও ক্ষমার মহান শিক্ষা বহন করে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?