রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

এবার কানাডায়ও বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের ভিসা

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ। ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রশাসন কয়েকটি সামরিক বিমানে শিকলে বেঁধে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বহু ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে চলছে ব্যাপক আলোচনা। এর মধ্যেই নতুন করে আরেকটি সংকট দেখা […]

এবার কানাডায়ও বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের ভিসা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩:১৫

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ। ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রশাসন কয়েকটি সামরিক বিমানে শিকলে বেঁধে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বহু ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে চলছে ব্যাপক আলোচনা।

এর মধ্যেই নতুন করে আরেকটি সংকট দেখা দিয়েছে কানাডায়। কানাডা সরকার সম্প্রতি ভিসা সংক্রান্ত একটি কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে, যা সেদেশে বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য আরও বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার পর এবার কানাডাও ভারতীয় অভিবাসীদের নিশানায় ফেলেছে। ভারত-কানাডা সম্পর্কের অস্থিরতার মধ্যে কানাডা প্রশাসন নতুন অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে, যার ফলে বহু ভারতীয়র ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় অবস্থানরত লাখ লাখ ভারতীয় এই সিদ্ধান্তের কারণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, খালিস্তানি বিতর্কের পর এবার ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যা ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান বিদ্বেষে নতুন মাত্রা যোগ করল। বর্তমানে কানাডায় অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার। নতুন নীতির ফলে তাদের অনেকেই বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের আরেকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কানাডার নতুন অভিবাসন নীতি ভারতীয় কর্মী ও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে যাচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে কানাডার অভিবাসন নীতিতে কঠোর পরিবর্তন কার্যকর করা হবে, যার ফলে দেশটিতে বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।

গত কয়েক বছরে ভারত ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খালিস্তানি ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জার্মানির পর এবার কানাডাও ভারতীয় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কানাডার নতুন নীতি শুধু ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক অভিবাসন ব্যবস্থার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ভারত সরকার এই ইস্যুতে কী ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং ভারতীয় অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা ইতোমধ্যেই ৩০০-রও বেশি ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে। ব্রিটেনেও অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং সম্প্রতি জার্মানিতে ক্ষমতায় এসেছেন কট্টরপন্থি নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, যিনি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, শরণার্থী আইন এবং অভিবাসীদের সামাজিক সুবিধা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে কানাডা অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে।

কানাডার গৃহীত নতুন নীতিতে ‘অস্থায়ী আবাসিক ভিসা’ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে সে দেশে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় কর্মী এবং কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ভারতীয় ছাত্ররা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই নীতির কারণে প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার ভারতীয় ছাত্র এবং অনেক কর্মীরই ভিসা বাতিল হতে পারে।

তবে, এই নতুন নীতির প্রভাব শুধু ভারতীয় অভিবাসীদের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কানাডার অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ায়, দেশটিতে বিভিন্ন দেশের অভিবাসী কমিউনিটি সমস্যায় পড়বে। বিশেষত, যারা ওয়ার্ক ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডায় আছেন, তাদের জন্য এখন নতুন করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া সহজ হবে না।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯১

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯১

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা তৈরি করেছে: শশী থারুর

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:১৭

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শশী থারুর বাংলাদেশ ইস্যুকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশটিতে যদি শত্রুভাবাপন্ন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আমাদের উচিত, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের প্রতি উদ্বেগের চেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট দেশ কে শাসন করবে, তা ভারত নির্ধারণ করতে পারে না। বরং আমাদের উচিত যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করার কৌশল রপ্ত করা।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শশী থারুর বলেন, আমি মনে করি না যে তাদের শত্রুভাবাপন্ন বলা যায়। তবে একই সঙ্গে আমাদের কিছু সতর্কতাও বজায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নিবিড়ভাবে, সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে, কারণ তাদের অবস্থান আমাদের ঠিক পাশেই।

শশী থারুর মনে করেন, ভারতের উচিত স্পষ্টভাবে জানানো যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চেয়ে পুরো দেশের মানুষের কল্যাণে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতের উচিত এটা বোঝানো যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর চেয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করতে চায়।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯১

আন্তর্জাতিক

মোদি’কে পাত্তাই দিলেন না ম্যাক্রোঁ, অপমানিত হলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তাকে অগ্রাহ্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে বিব্রতকর দৃশ্যটি দেখা গেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ ঠিক ওই সময়েই অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি ওঠে আসে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তাকে অগ্রাহ্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে বিব্রতকর দৃশ্যটি দেখা গেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ ঠিক ওই সময়েই অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি ওঠে আসে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার প্যারিসে এআই সম্মেলনে অংশ নেয়া বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানাতে সম্মেলনস্থলে হাজির হন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, জেডি ভ্যান্সের পাশে বসা নরেন্দ্র মোদি হাত বাড়িয়ে দিলে তাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যান ম্যাক্রোঁ। তবে মোদিকে উপেক্ষা করলেও আশপাশে থাকা ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইনসহ অনেক অতিথির সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে।

ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কেন ঘটলো এমন ঘটনা? কেউ কেউ এ ঘটনাকে কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আবার কেউ কেউ বলছেন অনিচ্ছাকৃতভাবে এটি হতে পারে। ফরাসি বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, প্যারিসে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে দেখা করেছেন।

এলিসি প্যালেসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আয়োজিত এক নৈশভোজের সময় তাদের সাক্ষাৎ হয়। নৈশভোজের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি জেডি ভ্যান্সকে তার নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯১