ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ইসলামি প্রজাতন্ত্রের চূড়ান্ত নীতি।
গতকাল বুধবার তেহরান সফরত কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানির সঙ্গে এক বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে তিনি পারস্য উপসাগরীয় এই দেশটিকে বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দিশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের প্রশাসনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন, যেমনটি কাতারি আমিরের সফরের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে কাতারের আমিরের তেহরান সফরকালে সই হওয়া চুক্তিগুলো উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে এবং একইসঙ্গে এর মাধ্যমে প্রতিবেশীসুলভ দায়িত্ব আগের চেয়ে আরো বেশি পালন করা সম্ভব হবে।
সর্বোচ্চ নেতা ইরান এবং এই বৃহত্তর অঞ্চলের প্রতি মার্কিন নীতির কথা উল্লেখ করে জোর দিয়ে বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ইরানের অর্থ বাজেয়াপ্ত করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাতারে স্থানান্তরিত করার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে ইরানে এসব অর্থ ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হলো আমেরিকা। তিনি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র আশা করে যে কাতার মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। সর্বোচ্চ নেতা এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, “আমরা যদি কাতারের অবস্থানে থাকতাম তাহলে আমরা মার্কিন চাপ উপেক্ষা করতাম এবং এসব সম্পদ ফেরত দিতাম। আমরা এখনো কাতারের কাছ থেকে এমন পদক্ষেপ আশা করি।
শেখ তামিম বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের প্রতি ইরানের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের দৃঢ় সমর্থনের কথা মানুষ কখনোই ভুলে যাবে না।
সূত্রঃ পার্সটুডে

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?