বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে চীনের মধ্যস্থতা চান ট্রাম্প, বেইজিং কী চায়?

চতুর্থ বছরে পা দিতে যাওয়া ইউক্রেন সংকট সমাধানে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন?—এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তার মতে, এই সংকট নিরসনে সাহায্য করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ নিয়ে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। ট্রাম্পের আশা চলতি […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:১৩

চতুর্থ বছরে পা দিতে যাওয়া ইউক্রেন সংকট সমাধানে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন?—এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তার মতে, এই সংকট নিরসনে সাহায্য করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এ নিয়ে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

ট্রাম্পের আশা

চলতি বছরের শুরুর দিকে (জানুয়ারিতে) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, চীন আমাদের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সহায়তা করবে…। তাদের এ বিষয়ে ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে এবং আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করব’।

ট্রাম্প সে সময় দাবি করেন, ক্ষমতা গ্রহণের কয়েকদিন আগেই তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসতে পারে।

তবে সম্প্রতি চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি করে ট্রাম্প কি এই উদ্যোগকে জটিল করে ফেলেছেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলতি মাসেই চীনা আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুটি হতে পারে বিরল এক ক্ষেত্র, যেখানে চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।

চীনের অবস্থান

চীন বরাবরই নিজেকে ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি স্থাপনকারী হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ একটি নিজস্ব শান্তি পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেছে, যদিও সেটি বেশ অস্পষ্ট।

তবে পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই চীনের এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখেছে। কারণ বেইজিং দৃঢ়ভাবে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে। যা চীনের জন্য একটি কঠিন সমীকরণ। কেননা, চীন একদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে পারে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা বেইজিংয়ের জন্য কৌশলগতভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।

চীনের জন্য ঝুঁকি এবং লাভ

চীনা বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, শি জিনপিং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঝুঁকিতে ফেলতে চাইবেন না। কারণ এটি চীনের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চীন একদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায়। অন্যদিকে তাদের লক্ষ্য বিশ্ব ব্যবস্থাকে নিজের সুবিধামতো পুনর্গঠন করা।

নিউ ইয়র্কের স্টিমসন সেন্টারের চীন-বিষয়ক পরিচালক ইউন সান বলেন, ‘ট্রাম্প যদি চীনের সহযোগিতাকে মার্কিন-চীন সম্পর্কের উন্নতির প্রধান শর্ত হিসেবে মূল্যায়ন করেন, তাহলে বেইজিং এতে আগ্রহী হতে পারে। তবে তারা অবশ্যই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইবে না’।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ ও মিউনিখ সম্মেলন

এদিকে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় আলোচনা হবে। সেখানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এই সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল নিয়ে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বর্তমানে ইউরোপ ও ইউক্রেন সফর করছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ইউক্রেন-রাশিয়া বিষয়ে ট্রাম্পের দূত জেনারেল কিথ কেলোগ ইউরোপে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত।

তার ওপর মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টও কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের বিষয়েও আলোচনা হবে।

ইউক্রেনের জন্য সহযোগিতা: বিনিময়ে সম্পদ?

ট্রাম্প সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছি। তাহলে তারা আমাদের খনিজ সম্পদের সুযোগ দেবে না কেন?’

এ সময় তিনি ‘ইউক্রেন হয়তো একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যাবে’ বলেও মন্তব্য করেন। আর তার এই মন্তব্যগুলো ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

চীনের ভূমিকা: সত্যিই কি শান্তি চায় দেশটি?

চীন দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করলেও তারা রাশিয়ার বড় অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়ক হয়ে উঠেছে। চীন রাশিয়াকে সামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ রপ্তানি করছে। যা নিয়ে পশ্চিমারা বলছে, চীন রাশিয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার শক্তি বৃদ্ধি করছে।

এছাড়া বেইজিং কখনোই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি, বরং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়িয়েছে।

চীন যদি রাশিয়ার ওপর সত্যিই চাপ প্রয়োগ করতে চায়, তাহলে তারা রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে পারত। কিন্তু বেইজিং এটা করবে না, কারণ তারা রাশিয়াকে দুর্বল অবস্থায় দেখতে চায় না।

শি জিনপিং কি ট্রাম্পের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহী?

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ট্রাম্পের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহী কিনা, সেটি নির্ভর করবে ট্রাম্পের শর্তগুলোর ওপর। এর আগে বাইডেন প্রশাসন চীনকে পুতিনের ওপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এখন ট্রাম্প তার নিজস্ব উপায়ে চীনকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

তবে বেইজিং এই (ইউক্রেন) যুদ্ধকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে—একটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার পতন ত্বরান্বিত করার জন্য।

এ বিষয়ে কানার্জি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর সিনিয়র ফেলো তং ঝাও বলেন, ‘চীন এখন এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, যেখানে আমেরিকার প্রভাব কম থাকবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো চীনের পক্ষে থাকবে।

শান্তি, নাকি রাজনৈতিক স্বার্থ?

চলমান যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হতে পারে, যা এই তিন দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘শান্তি চুক্তির পরও যদি রাশিয়া তার দখল করা অঞ্চলগুলো ধরে রাখে, তাহলে তা আদতে যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, বরং একটি সাময়িক বিরতি হবে’।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৬৮০

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৬৮০

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা তৈরি করেছে: শশী থারুর

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:১৭

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শশী থারুর বাংলাদেশ ইস্যুকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশটিতে যদি শত্রুভাবাপন্ন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আমাদের উচিত, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের প্রতি উদ্বেগের চেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট দেশ কে শাসন করবে, তা ভারত নির্ধারণ করতে পারে না। বরং আমাদের উচিত যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করার কৌশল রপ্ত করা।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শশী থারুর বলেন, আমি মনে করি না যে তাদের শত্রুভাবাপন্ন বলা যায়। তবে একই সঙ্গে আমাদের কিছু সতর্কতাও বজায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নিবিড়ভাবে, সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে, কারণ তাদের অবস্থান আমাদের ঠিক পাশেই।

শশী থারুর মনে করেন, ভারতের উচিত স্পষ্টভাবে জানানো যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চেয়ে পুরো দেশের মানুষের কল্যাণে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতের উচিত এটা বোঝানো যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর চেয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করতে চায়।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৬৮০

আন্তর্জাতিক

মোদি’কে পাত্তাই দিলেন না ম্যাক্রোঁ, অপমানিত হলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তাকে অগ্রাহ্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে বিব্রতকর দৃশ্যটি দেখা গেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ ঠিক ওই সময়েই অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি ওঠে আসে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তাকে অগ্রাহ্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্যারিসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে বিব্রতকর দৃশ্যটি দেখা গেছে। যদিও ম্যাক্রোঁ ঠিক ওই সময়েই অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দন করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি ওঠে আসে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার প্যারিসে এআই সম্মেলনে অংশ নেয়া বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানাতে সম্মেলনস্থলে হাজির হন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, জেডি ভ্যান্সের পাশে বসা নরেন্দ্র মোদি হাত বাড়িয়ে দিলে তাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যান ম্যাক্রোঁ। তবে মোদিকে উপেক্ষা করলেও আশপাশে থাকা ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেইনসহ অনেক অতিথির সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে।

ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কেন ঘটলো এমন ঘটনা? কেউ কেউ এ ঘটনাকে কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আবার কেউ কেউ বলছেন অনিচ্ছাকৃতভাবে এটি হতে পারে। ফরাসি বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে, প্যারিসে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে দেখা করেছেন।

এলিসি প্যালেসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আয়োজিত এক নৈশভোজের সময় তাদের সাক্ষাৎ হয়। নৈশভোজের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি জেডি ভ্যান্সকে তার নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৬৮০