নয়াদিল্লিতে বসে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেছেন, ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেললে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচকতা বাড়বে না।
ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে। বাংলাদেশও এ সম্পর্ককে খারাপ না করে একইভাবে প্রতিদান দেবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে অবস্থান করে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে আসছেন। তার বক্তব্য মিথ্যা ও উসকানিমূলক দাবি করে শেখ হাসিনাকে এ থেকে বিরত রাখতে ভারতকে জানিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে একটি প্রতিবাদলিপিও দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার বক্তব্যের জন্য দায়ী করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত।
এ বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে মো. নুরুল ইসলামকে তলব করেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরে ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বৈঠকে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক চায়। সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও বেশ কয়েকবার এ কথার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক বিবৃতিগুলো ভারতকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। এসব বিবৃতি বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদেরকে দায়ী করে। বাংলাদেশ সরকারের এসব বক্তব্য আসলে ক্রমাগত নেতিবাচকতার জন্য দায়ী।