শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের নয় বরং ইসরাইলিদের উচিত গ্রিনল্যান্ডে পাঠানো: আরাকচি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যে কোনও আক্রমণের তাৎক্ষণিক এবং চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন: “আমেরিকা এবং ইসরাইল পাগল হয়ে গেছে। যদি তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে, তবে এটি হবে এই অঞ্চলের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয়।” মঙ্গলবার সম্প্রচারিত ব্রিটেনের স্কাই নিউজ চ্যানেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৩

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যে কোনও আক্রমণের তাৎক্ষণিক এবং চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন: “আমেরিকা এবং ইসরাইল পাগল হয়ে গেছে। যদি তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে, তবে এটি হবে এই অঞ্চলের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয়।”

মঙ্গলবার সম্প্রচারিত ব্রিটেনের স্কাই নিউজ চ্যানেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি এবং সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেছেন। পার্সটুডের এই প্রতিবেদনে এই সাক্ষাতকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: আপনি খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং স্পর্শকাতর সময়ে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ অঞ্চল বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। হোয়াইট হাউসে যিনি এখন আছেন তিনি ইরানের শত্রু। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ইরানের সাথে একটি চুক্তি করার কথা বলছেন। তাই এখানে হুমকি এবং সুযোগ দুটোই আছে। আপনি কি এমন কোন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন যে ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কোন ধরণের চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক হবে?

উত্তর: ইরানের নতুন সরকার তার পররাষ্ট্র নীতি কার্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ করার জন্য চেষ্টা করছে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে যা আপনি জানেন। সুতরাং এর অর্থ হল আমরা বিশ্বের সব দেশের সাথে যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তুত। দুর্ভাগ্যবশত, যখন আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন এই অঞ্চলটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ছিল। আমার মূল লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক যুদ্ধ সংঘাত প্রতিরোধ করা এবং এমন পদক্ষেপ নেয়া যাতে সমগ্র এ অঞ্চলকে উত্তেজনা ও সংঘাত থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। আমি এই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি দেশেই গিয়েছি যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে, এমনকি মিশর এবং বাহরাইনেও গিয়েছি, যাদের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। আমি কিছু বিষয়ে অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছার জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি যাতে উত্তেজনা রোধ করা যায়। আমার মনে হয় আমি সফল হয়েছি।

একই সাথে, আমি ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে নতুন করে একটি চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি ও অবিশ্বাস দূর করার জন্য একটি নতুন উপায় খুঁজে বের করতে, পরমাণু সমঝোতা জেসিপিওএ-তে ফিরে যেতে চাই, অথবা অন্তত এই ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে একটি নতুন সমাধান খুঁজে পেতে পারি তা খতিয়ে দেখতে সম্মত আছি। অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা কঠিন ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর, আমরা এখনও নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতি কী হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের পরমাণু কর্মসূচিতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। মার্কিন সরকার ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তাকেই এ বিষয়ে আস্থা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই আমরা মার্কিন সরকার কি পদক্ষেপ নেয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু কোনো হুমকিকে আমরা পরোয়া করি না।

আমরা অতীতেও এটা প্রমাণ করেছি যে কেউ সম্মান ও শ্রদ্ধার ভাষায় কথা বললে আমরা সাড়া দেই। এই নীতিতে আমরা এখনো অটল রয়েছি। একই সাথে, আমাদের আরো কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেমন তারা যখন আমাদের হুমকি দিয়েছিল, তারা যখন আমাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তখন এর ফলাফল কী হয়েছিল? আমরা এখন আমাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আমরা এখন আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পেও অনেক বেশি এগিয়ে। কেন? কারণ তারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল এবং সেটাকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগিয়ে আমরা সামরিক ক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছি। সুতরাং তাদের নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজে আসেনি।

প্রশ্ন: এবার ইসরাইল প্রসঙ্গে আসা যাক। কারণ আমার মনে হয় ইসরাইলের কাছ থেকে ইরানের জন্য হুমকি আছে। আমরা ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছি যে ইরানকে আক্রমণ করার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর কখনও আসেনি কারণ ইরান সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন যে, যদি কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে তিনি ইরানে হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। এই আশঙ্কা নিয়ে আপনি কতটা চিন্তিত?

উত্তর: তারা জানে যে এটি প্রকৃত হুমকি নয়, কারণ তারা আমাদের পক্ষ থেকে কি ধরণের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হবে সে সম্পর্কে ভাল করেই জানে। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যেকোনো আক্রমণের তাৎক্ষণিক এবং চূড়ান্ত জবাব দেয়া হবে। তাই আমার মনে হয় না তারা এমন পাগলামি করবে। কিন্তু তারা যদি সত্যিই পাগলামি করে বসে তাহলে সমগ্র এই অঞ্চল বড় বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে। আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। কেন? কারণ আমি মনে করি এসব হুমকি অবাস্তব এবং লোক দেখানো।

প্রশ্ন: এবারে ইসরাইল, ফিলিস্তিন এবং গাজা সম্পর্কে কথা বলা যাক। ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গাজার ফিলিস্তিনিদেরকে অন্য দেশে পাঠিয়ে গাজাকে সাফ করা অর্থাৎ এ অঞ্চলকে সম্পূর্ণ খালি করে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন। এটা কি ইরানের জন্য রেড লাইন নয়? যদি এমনটা ঘটে তাহলে ইরান কি ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখাবে?

উত্তর: ভুলে গেলে চলবে না যে শেষ পর্যন্ত ইসরাইলিরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে বাধ্য হয়েছিল যে তাদের হামাসের সাথে আলোচনা করতে হবে। তারা হামাসকে ধ্বংস করার জন্য সেখানে গিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বন্দীদের মুক্তির জন্য হামাসের সাথে আলোচনা করতে বাধ্য হয়েছিল। তাই আমার পরামর্শ অন্য কিছু। ফিলিস্তিনিদের পরিবর্তে, তাদের উচিত ইসরাইলিদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করা। এক ঢিলে দুই পাখি মারতে ওদের গ্রিনল্যান্ডে পাঠিয়ে দেয়া উচিত। যাতে গ্রিনল্যান্ডের সমস্যা সমাধানও হয় এবং ইসরাইলিরাও সেখানে থাকতে পারে।

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় ইসরাইলের তাদের ভূমিতে বসবাসের অধিকার আছে?

উত্তর: সবারই বেঁচে থাকার অধিকার আছে, কিন্তু অন্যের জমি দখল করার অধিকার কারোরই নেই। এটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং ফিলিস্তিনিদেরই তাদের ভূমি এবং তাদের ভাগ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রশ্ন: গত এক বছরে, আমরা হিজবুল্লাহর দুর্বলতা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু (শাহাদাত) প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও দেখেছি। আমরা আপনাদের মিত্র বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনাও দেখেছি। তাহলে এটা কি বলা যায় যে আপনাদের কৌশল আর কাজ করছে না?

উত্তর: আমাদের জানা উচিত যে প্রতিরোধ একটি চিন্তাধারা এবং একটি আদর্শ। মানুষ হত্যা করলে এই আদর্শ অদৃশ্য হয়ে যায় না। এটা ঠিক যে হামাস এবং হিজবুল্লাহ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এখন তারা নিজেদেরকে ফের পুনর্গঠন করছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই চিন্তাধারা এবং এই আদর্শ বিলুপ্ত হবে না।

আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিতে চাই; ফরাসি বিপ্লবকে ইউরোপ ও আমেরিকায় অনেক চিন্তা ও আদর্শের জননী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু পরে কীভাবে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছিল তা লক্ষ্য করুন। নেপোলিয়নের প্রত্যাবর্তন ঘটে, একনায়কতন্ত্র ফিরে আসে কিন্তু তারপরও ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে উদ্ভূত আদর্শগুলো এখনও পশ্চিমা দেশগুলোতে বিদ্যমান। বলা যায় এই আদর্শ বিভিন্ন রূপ ধারণ করলেও, মূল ধারণাটি এখনও রয়ে গেছে। ঠিক তেমনি এটি এ অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এবং তাদের উত্থান-পতন স্বাভাবিক।

গত এক বছরে প্রতিরোধ অনেক ক্ষেত্রে জয়লাভ করেছে। ব্যর্থতা স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজেকে পুনর্গঠন করা এবং নিজের পথে অটল থেকে এগিয়ে যাওয়া। জনগণ হামাস এবং হিজবুল্লাহকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে, তাদের আগের ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে যাতে তারা আগের মতোই ইসরাইলকে প্রতিহত করতে পারে। হামাস এবং হিজবুল্লাহ স্বাধীন এবং তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সর্বদা সমর্থন করেছি এবং করব। যদি তারা ইরানের কাছে সহায়তা চায়, আমরা অবশ্যই তাদের ইতিবাচক সাড়া দেব।

সূত্রঃ পার্সটুডে

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮২

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮২

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮২

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৮২