সিরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের আমলের পুলিশ প্রশাসনের পুনর্গঠনে ইসলামি আইনের ব্যবহার করছে দেশটির নতুন সরকার। পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণে কাজে লাগানো হচ্ছে ইসলামি শিক্ষা।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল আসাদের কুখ্যাত দুর্নীতিগ্রস্ত ও নৃশংস নিরাপত্তা বাহিনীকে ঢেলে সাজানো এবং আইন-শৃঙ্খলা ও জনগণের জান-মালের সুরক্ষায় বাহিনীর মধ্যে নৈতিকতার অনুভূতি জাগানো।
গত মাসে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন নতুন শাসকগোষ্ঠী দেশকে নতুনভাবে গড়ার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে পুলিশ পুনর্গঠন করা হচ্ছে।
সেই অনুলিপিতে দেখা যাচ্ছে, আবেদনকারীদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন করছেন কর্মকর্তারা এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণে ইসলামি শরিয়া আইনের ওপর জোর দিচ্ছেন।
দেশজুড়ে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা সুন্নি মুসলিম ইসলামপন্থি গোষ্ঠী এইচটিএসের জন্য শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইনশৃঙ্খলার কেন্দ্রে ধর্মকে স্থান দেয়ার এই পদক্ষেপ একটি ধর্মীয় বৈচিত্র্যময় দেশে নতুন বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
পুলিশ প্রশিক্ষণে ধর্মীয় নৈতিকতা ও আইন পশ্চিমা সরকারগুলোকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তাদের আশঙ্কা ইসলাম সিরিয়ার নতুন সংবিধানেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্রোহী হায়াত তাহরির আল-শাম ও অন্যান্যরা সংবিধান সংস্কারের পরিকল্পনা করছে।
সিরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান আহমেদ আল-শারা পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন যে, তার দল আল-কায়েদার সঙ্গে পূর্বের সম্পর্ক ত্যাগ করেছে এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে মধ্যপন্থায় শাসন করবে।
এরই মধ্যে গোষ্ঠীটি যুদ্ধের সময় তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ইসলামি আইনের কঠোর কিছু ধারা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসার মাধ্যমে উদারতা দেখিয়েছে।
ইদলিবে পুলিশ একাডেমি স্থাপনকারী হামজা আবু আবদেল রহমান বলেন, ‘কোনটি অনুমোদিত আর কোনটি নয়, সে সম্পর্কে ধর্মীয় জ্ঞান থাকা নিয়োগপ্রাপ্তদের ন্যায়বিচারের সঙ্গে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।