ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে বেসরকারি খাতে সক্রিয় বেশ কয়েকজন উৎপাদক, পুঁজি বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা আজ (বুধবার) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, যেমনটি বলেছি প্রতিরোধ সংগ্রাম জীবিত আছে এবং জীবিত থাকবে। গাজা জয় লাভ করেছে।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, বিশ্বের সবার চোখের সামনে গাজায় যা ঘটছে তা রূপকথার মতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশাল যুদ্ধ মেশিন রক্তপিপাসু ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সহায়তা দিয়ে ১৫ মাসের বেশি সময়ে ১৫ হাজার শিশুকে হত্যা করতে দ্বিধা করে নি এবং এই নৃশংস রেজিমকে বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা সরবরাহ করেছে যাতে শিশুদের ঘরবাড়ি ও হাসপাতাল ধ্বংস করতে পারে। এটা যদি ইতিহাসে লেখা থাকত তাহলে আমরা অবশ্যই তা বিশ্বাস করতাম, কিন্তু আজ তা আমাদের চোখের সামনে ঘটেছে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, আমেরিকা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে তার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ও শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে, তারা এটা না করলে প্রথম সপ্তাহেই ইহুদিবাদী ইসরাইল নতজানু হতে বাধ্য হতো। নিষ্ঠুর ও নৃশংস ইহুদিবাদী ইসরাইল সেই হামাসের সাথে আলোচনার টেবিলে বসেছে যেটাকে তারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাদের (হামাস) শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এটাকেই আমরা বলি প্রতিরোধ জীবন্ত।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, এটি ঐশী রীতি। যেখানেই আল্লাহর সৎ বান্দারা প্রতিরোধ করবে, সেখানেই তারা নিশ্চিতভাবে বিজয় অর্জন।
ইরানের দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে যারা ভ্রান্ত ও কাল্পনিক কথা বলছে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে কে দুর্বল হয়ে পড়েছে, ঠিক যেমন সাদ্দাম ইরানের দুর্বল হওয়ার ধারণা নিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিলেন, রিগ্যানও একই ধারণা নিয়ে একই কাজ করেছিলেন। তিনি তাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু অবশেষে সেই দুজন এবং আরও কয়েক ডজন বিভ্রান্ত মানুষ তা বুঝতে পেরেছিল। ইসলামী প্রজাতন্ত্র দিন দিন দিনই উন্নতি সাধন করেছে। আল্লাহর রহমতে তা পুনরাবৃত্তিযোগ্য।
সূত্রঃ পার্সটুডে