গাজা উপত্যকায় যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে তখন ইহুদিবাদী ইসরাইল জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত আট ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। বর্বর ইহুদিবাদী সেনাদের গুলিতে আহত হয়েছেন আরো ৩৫ জন।
এ ঘটনার পর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়ার জন্য পশ্চিম তীরের তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম বলেছে, ইসরাইলি সেনারা গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে হেলিকপ্টার গানশিপের ছত্রছায়ায় জেনিন শহর ও এর শরণার্থী শিবিরে বড় ধরনের অভিযান চালায়। ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র আনোয়ার রজব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরাইলি সেনারা বেসামরিক নাগরিক ও ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে বহু মানুষ হতাহত হন।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীও জেনিনে হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনের জন্য বিশাল ও উল্লেখযোগ্য’ অভিযান বলে দাবি করেছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র দু’দিনের মাথায় পশ্চিম তীরের এই পাশবিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাস জেনিনের ‘বিদ্রোহী তরুণদের’কে সংগঠিত হয়ে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় দখলদার সেনাদের সামরিক অভিযান যেমন ব্যর্থ হয়েছে তেমনি জেনিনেও ইসরাইলি বাহিনী যত অভিযানই চালাক না কেন তার সব ব্যর্থ হবে।
সূত্রঃ পার্সটুডে