ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী আজ (মঙ্গলবার) রাজধানী তেহরানে আড়াই ঘন্টা ধরে বৈজ্ঞানিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতাসহ নানা ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেছেন। এই প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অগ্রগতির পথিকৃৎ: বেসরকারি খাতের সক্ষমতা ও সাফল্য প্রদর্শনের একটি জাতীয় অনুষ্ঠান’।
এই প্রদর্শনীতে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি, উপগ্রহ উৎপাদন সরঞ্জাম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিমানের যন্ত্রাংশ ও বিমান মেরামত সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে নানা সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে বেসরকারি খাতের গুরুত্বও স্পষ্ট হয়েছে। এতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে খনি ও ভূতত্ত্ব খাত, তেল, গ্যাস, পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্প, গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি, সামুদ্রিক শিল্প, কার্পেট শিল্প, পানি ও বিদ্যুৎ খাত, টেক্সটাইল শিল্প, চিকিৎসা ও হাসপাতাল সংক্রান্ত সরঞ্জাম এবং ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে রোইয়ান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবনের অগ্রগতিও তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে হস্তশিল্প, পর্যটন এবং কৃষি ও পশুপালন উৎপাদনে অগ্রগতির সার্বিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সর্বোচ্চ নেতা প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এ সময় সর্বোচ্চ নেতাকে কাছে পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি তাদের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন। পাশাপাশি কোন কোন ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন সেটাও তুলে ধরেন। প্রদর্শনীতে উপস্থিত মন্ত্রীদের উদ্দেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা জোর দিয়ে বলেন, বেসরকারি খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অবশ্যই সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের অগ্রগতি বেসরকারি খাতের শক্তিশালী হওয়ার উপর নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ খাতে ভারসাম্যহীনতা মোকাবেলায় জ্বালানিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী পানি ও বিদ্যুৎ খাতের সমস্যা সমাধানে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এসব বক্তব্য সঠিক ও প্রশংসনীয়, তবে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এই খাতে ভারসাম্যহীনতার বিষয়গুলোর পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমাধানসূত্র নিয়ে বহু বছর ধরেই আলোচনা করা হয়েছে, তবুও আমরা এখনও আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল থেকে অনেক দূরে রয়েছি।
সূত্রঃ পার্সটুডে