বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

আমেরিকার নাগরিকত্ব হারাতে হচ্ছে লাখ লাখ ভারতীয়র

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নীতি বাতিলের উদ্যোগ। ট্রাম্পের এই কঠোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে লাখ লাখ ভারতীয় মার্কিন নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পরই ট্রাম্প জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব […]

নিউজ ডেস্ক

২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯:০১

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নীতি বাতিলের উদ্যোগ। ট্রাম্পের এই কঠোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে লাখ লাখ ভারতীয় মার্কিন নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পরই ট্রাম্প জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রদান নীতি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেন। এই আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলেই নাগরিকত্বের স্বাভাবিক অধিকার আর স্বীকৃত হবে না।

ট্রাম্প আগে থেকেই এই নীতির পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন। গত বছর এক বক্তব্যে তিনি এই নীতিকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। অথচ দেড় শ বছরের পুরোনো এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি দেশটির নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ এই প্রথার ওপর আঘাত হেনেছে এবং নীতিটি সম্পূর্ণ বাতিলের দিকে এগোচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটবেন না। সকল আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে এই নীতি কার্যকর হলে প্রায় ১৬ লাখ ভারতীয় তাদের মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

২০২২ সালে মার্কিন আদমশুমারি বিশ্লেষণ করে দেশটির অন্যতম জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান বসবাস করছেন। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ লাখের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। ফলে তারা আইনত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই আইনটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হলে এই ১৬ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান নাগরিকত্ব হারাবেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এই নিয়ম বদলাতে হবে। যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম রাখা হয় তাহলে অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেক পরিবারের সন্তানদের রেখে তাদের বাবা-মাকে ফেরত পাঠাতে হবে। আমি পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। কাজেই পরিবার না ভাঙার একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফেরত পাঠানো।

উল্লেখ্য, মার্কিন নাগরিকত্ব-গ্রিনকার্ড অর্জনের একটি সহজ এবং জনপ্রিয় পথ হচ্ছে মার্কিন ভূখণ্ডে সন্তান জন্মদান। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনো শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্র তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয় এবং ওই শিশুর বয়স ১৮ পার হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে বড় করা এবং দেখাশোনা করার জন্য তার বাবা-মাকে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।

আর একবার বৈধ বসবাসের অনুমতি পেলে নাগরিকত্ব ও গ্রিনকার্ড প্রাপ্তির পথও অনেক সহজ হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ভাগিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ ভারতীয়। তারা সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরিসহ স্থানীয় রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছেন। এবার ট্রাম্পের কঠোর সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই সব ভারতীয়।

এদিকে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প।

প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালের পর ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবারও প্রেসিডেন্ট হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল রোটুন্ডায় তার শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে হাজির ছিলেন বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্র নেতারাও।

শপথের পর প্রথম ভাষণেই ট্রাম্প পানামা খাল দখলে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বোকা-মার্কা উপহারের মাধ্যমে আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা কখনও দেওয়া উচিত হয়নি। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে। আমাদের চুক্তির উদ্দেশ্য এবং আমাদের চুক্তির চেতনা সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে। আমরা এটি চীনকে দেইনি। আমরা এটি পানামাকে দিয়েছি এবং আমরা ফিরিয়ে নেব।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৩৮

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৩৮

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৩৮

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৩৮