দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে অন্যতম একটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বাতিল করার কার্যক্রম।
এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসী বিতারণ করতে ধারাবাহিক কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। ট্রাম্পের ওই কঠোর পদক্ষেপে মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন লাখ লাখ ভারতীয়।
ট্রাম্প আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্বের এই পুরনো নীতি পরিবর্তন করতে চান। গত ২০ জানুয়ারি তিনি এ নীতির পরিবর্তন শুরু করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন।
এখন থেকে যদি এই আদেশ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের আর জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্তি হবে না। দীর্ঘ ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে স্বীকৃত ছিল। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে লাখ লাখ ভারতীয় আমেরিকান নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
২০২২ সালে মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান বাস করছেন, যার মধ্যে ৩৪% অর্থাৎ প্রায় ১৬ লাখের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। যদি এই নীতি বাতিল হয়, তাহলে এসব ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাতে পারেন।
ট্রাম্প বলেন, এই নিয়মের কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেক পরিবারের শিশুদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, তবে তাদের বাবা-মা আইনতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে পারেন না। তিনি চান, এই পরিবারগুলোকে একসাথে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হোক। তাই, তিনি এই নিয়মটি বদলানোর জন্য নির্ধারিত।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় অভিবাসী কমিউনিটির জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার মাধ্যমে অনেক ভারতীয় পরিবারের সদস্যরা নাগরিকত্বের সুবিধা পেয়েছেন এবং তারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরি করেছেন।
এছাড়াও, একই দিন ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার আদেশে সই করেছেন।