মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

চরম শত্রু থেকে পরম বন্ধু হলো রাশিয়া-ইরান

নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক। শুক্রবার বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটি ২০ বছরের কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তিতে সই করেছে। এরপরই নতুন করে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়েছে। বর্তমানে মিত্র এই দুই দেশ এক সময় ছিল পরস্পরের চরম শত্রু। এমনকি দুই দেশের মধ্যে কয়েক বার যুদ্ধও হয়েছে। রাশিয়াকে নিয়ে ইরানের বেদনাদায়ক স্মৃতিও রয়েছে। তবে […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:২২

নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক। শুক্রবার বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটি ২০ বছরের কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তিতে সই করেছে। এরপরই নতুন করে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়েছে। বর্তমানে মিত্র এই দুই দেশ এক সময় ছিল পরস্পরের চরম শত্রু। এমনকি দুই দেশের মধ্যে কয়েক বার যুদ্ধও হয়েছে। রাশিয়াকে নিয়ে ইরানের বেদনাদায়ক স্মৃতিও রয়েছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সে রাশিয়াই হয়ে উঠেছে ইরানের পরম মিত্র।

আঠারো ও উনিশ শতকে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়ায় রাশিয়া ও ইরান। পার্সিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ককেশাস ও কাস্পিয়ান অঞ্চলের বিস্মৃত অঞ্চলও দখল করে নেয় রাশিয়ান সাম্রাজ্য। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়ার সৈন্যরা উত্তরাঞ্চলীয় ইরানের বড় অংশ দখল করে দেয়।

কিন্তু ১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপ্লবের কারণে সেখানে রাশিয়ার উপস্থিতির ইতি ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানে হামলা করে বসে, যা এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় তেহরানকে।

স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইরানের অবস্থান ছিল রাশিয়ার বিপরীতমুখী। তখন ইরানে শাহদের শাসন ছিল, যারা ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ছেদ ঘটে সেই সম্পর্কের। বিপ্লবীদের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনির ভাষায়- যুক্তরাষ্ট্র ছিল বড় শয়তান আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল ছোট শয়তান। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর উষ্ণ হতে শুরু করে রাশিয়া-ইরানের সম্পর্ক।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে চিড়ে-চ্যাপ্টা ইরানের পাশে এসে দাঁড়ায় রাশিয়া। তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারের পাশাপাশি হয়ে ওঠে অস্ত্র ও উন্নত প্রযুক্তির জোগানদাতাও। এমনকি ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও তৈরি করে দেয় রাশিয়া, যেটি ২০১৩ সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে। ইরানকে আরও দুটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করে দিতে পরবর্তী বছর চুক্তি করে রাশিয়া। এছাড়া ছয় জাতির সঙ্গে হওয়া ইরানের পরমাণু চুক্তিতে রাশিয়াও ছিল।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হলে বাশার আল আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এক জোট হয় রাশিয়া ও ইরান। ২০১৫ সালে রাশিয়া সরাসরি এই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে আগে থেকেই ময়দানে থাকা ইরান ও তাদের প্রক্সিরা হালে পানি পায়। শেষ পর্যন্ত সিরিয়ায় টিকে যায় বাশার আসাদ সরকার।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় মস্কোর নজর সিরিয়া থেকে সরে যাওয়ায় একা হয়ে পড়ে ইরান। আর সে সুযোগকে কাজে লাগায় বিদ্রোহীরা। পতন ঘটে আসাদ সরকারের।

পশ্চিমারা সেই ২০২২ সাল থেকে অভিযোগ করে আসছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ১৭০ কোটি ডলারের শাহেদ ড্রোন দিতে চুক্তি করেছে তেহরান-মস্কো। এমনকি রাশিয়াকে ইরান স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল সরবরাহ করেছে বলেও অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে। যদিও এ নিয়ে মস্কো বা তেহরান কেউই মুখ খোলেনি।

আবার ইরানে দুই বার চালানো ইসরায়েলের সরাসরি হামলায় রাশিয়ার সরবরাহ করা এস-300 আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই বাঁচিয়েছে তেহরানকে।

তেহরানের নজর রয়েছে রাশিয়ার দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক এসইউ-৩৫ ফাইটার জেট ও অন্যান্য অস্ত্রের দিকে। কিন্তু ইরানকে এ পর্যন্ত মাত্র বেশ কয়েকটি ইয়াক-১৩০ ট্রেইনার জেট দিয়েছে রাশিয়া। এমতাবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসার ঠিক আগে বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করল রাশিয়া ও ইরান।

নতুন এই চুক্তির মেয়াদ বিশ বছর। এর ফলে বাণিজ্য, সামরিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়বে দুই দেশের মধ্যে। এছাড়া উভয়ই তাদের জাতির ওপর আক্রমণকারীকে কোনো সহায়তা প্রদান করবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- একে অন্যের ওপর সামরিক হুমকি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে মস্কো ও তেহরান।

এদিকে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে ইরানের চুক্তিটি মূল্যায়ন করতে পারে পশ্চিমারা। কারণ, দুই দেশের যুদ্ধ প্রস্তুতি আরও জোরালো হবে এবং অন্তিম মুহূর্তে মিলেমিশে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে দায়বদ্ধ থাকবে ইরান ও রাশিয়া। দুই শক্তির এই মিলন তাই আতঙ্ক হিসেবেই দেখবে শত্রুরা।

আন্তর্জাতিক

ভারতের ফ্লাইট বাতিল ও সতর্কতা জারি

সাইক্লোন ফেঙ্গালের কারণে ৩০ নভেম্বর চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুতে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ভারী ঝড়ো হাওয়া এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাইক্লোন ফেঙ্গাল দুপুরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আঘাত হানবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এই কারণে ইন্ডিগো তাদের চেন্নাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করার […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৯

সাইক্লোন ফেঙ্গালের কারণে ৩০ নভেম্বর চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুতে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ভারী ঝড়ো হাওয়া এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাইক্লোন ফেঙ্গাল দুপুরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আঘাত হানবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এই কারণে ইন্ডিগো তাদের চেন্নাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করার পাশাপাশি কিছু ফ্লাইট অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

দুপুর ১২.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা বাতিল ফ্লাইটের ক্ষেত্রে রিফান্ড বা বিকল্প ফ্লাইট বুকিংয়ের সুবিধা পাবেন।এই ঝড়ের কারণে তামিলনাড়ুর একাধিক জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ৪৭১ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঝড়ের কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে এবং উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় এক মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের কারণে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।শ্রীলঙ্কার উপকূল স্পর্শ করার সময় সাইক্লোন ফেঙ্গালের প্রভাবে নিহত হয়েছে ১২ জন যার মধ্যে ছয়জন শিশু।

চেন্নাই সহ তামিলনাড়ুতে এখন সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছে, যাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে