ইরানে আটক ইতালির একজন নারী সাংবাদিকের সাম্প্রতিক মুক্তির প্রক্রিয়ায় মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক ভূমিকা রেখেছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো যে দাবি করেছেন তেহরান তা ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এ সম্পর্কিত যে রিপোর্ট করেছে তাকে ‘গণমাধ্যম-রসিকতা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি। নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছিল, ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ইতালির সাংবাদিক সিসিলিয়া সালাকে মুক্তি দেয় তেহরান।
২৯ বছর বয়সি ইতালির ওই সাংবাদিককে গত মাসে ইরানের আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে তেহরান থেকে আটক করা হয়। ইরান গত সপ্তাহে তাকে মুক্তি দিলে তিনি নিজ দেশে ফিরে যান। এর চার দিন পর ইতালিতে আটক একজন ইরানি প্রকৌশলীকে মুক্তি দেয় রোম।
ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায়ে ওই ইরানি প্রকৌশলীকে ওয়াশিংটনের অনুরোধে আটক করেছিল ইতালি। গত ১৬ ডিসেম্বর ৩৮ বছর বয়সি আবেদিনি নাজাফাবাদি ইতালি থেকে যখন সুইজারল্যান্ড যাচ্ছিলেন তখন তাকে মিলান বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি গত সপ্তাহে রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক জটিল কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সিসিলিয়া সালাকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম অবশ্য দাবি করেছে, ইরান আবেদিনির বিনিময়ে সালাকে মুক্তি দিয়েছে।
সূত্রঃ পার্সটুডে