শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক, মুখ খুললো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (ডিইউ) সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে জানায় যে, “রাইট টু ইনফরমেশন” (আরটিআই) আইনের উদ্দেশ্য কারো কৌতূহল মেটানো নয়। এই বক্তব্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে পেশ করেন। এটি ছিল সেই মামলার শুনানি, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত ডিগ্রি নিয়ে। ২০১৭ সালে দায়ের করা এই মামলা আদালতে শুনানি চলছিল, যেখানে ডিইউ […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০:২৯

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (ডিইউ) সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে জানায় যে, “রাইট টু ইনফরমেশন” (আরটিআই) আইনের উদ্দেশ্য কারো কৌতূহল মেটানো নয়। এই বক্তব্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে পেশ করেন।

এটি ছিল সেই মামলার শুনানি, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত ডিগ্রি নিয়ে। ২০১৭ সালে দায়ের করা এই মামলা আদালতে শুনানি চলছিল, যেখানে ডিইউ সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনের (সিআইসি) সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে, যার মাধ্যমে তাদের ১৯৭৮ সালের বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রেকর্ড পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদিরও বিএ পাস করার দাবি করা হয়।

মেহতা বলেন, “আরটিআই আইনের উদ্দেশ্য হলো শুধুমাত্র জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা, এটি কাউকে তার কৌতূহল মেটানোর জন্য নয়।” তিনি আরও যুক্ত করেন, “এই আইন যেন অপব্যবহার না হয়, সে কারণে এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়, যা জনস্বার্থের সাথে সম্পর্কিত নয়।”

তাছাড়া, মেহতা বলেন, যে কোনো ব্যক্তি তার নিজের ডিগ্রি বা মার্কশিট পেতে পারেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা তা অনুমতি দেয়, তবে আরটিআই আইনের ধারা ৮(১)(ই) অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।

এছাড়া, তিনি বলেন, “কেউ যদি ১৯৭৮ সালের সকল শিক্ষার্থীর তথ্য চায়, তাহলে পরবর্তী বছরও এমন দাবি আসতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এর পুরনো তথ্য প্রকাশে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।”

আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার ২০১৬ সালে একটি আরটিআই আবেদন করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৯৭৮ সালের বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সকল শিক্ষার্থীর ফলাফল, রোল নম্বর, নাম, মার্কস এবং পাস বা ফেল বিষয়ক তথ্য চেয়েছিলেন।

ডিইউর সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (সিপিআইও) এই তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করে, কারণ এটি “তৃতীয় পক্ষের তথ্য” হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর কুমার সিআইসির কাছে আপিল করেছিলেন।

সিআইসি ২০১৬ সালে আদেশ দিয়ে বলেছিল, “শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি জনসাধারণের তথ্যের আওতায় আসে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে থাকা তথ্য একটি পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে গণ্য হয়।”

তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে যুক্তি পেশ করেছিল যে, তারা ১৯৭৮ সালের বিএ পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা জানাতে সমস্যা নেই, কিন্তু বিস্তারিত ফলাফল, রোল নম্বর, নাম ও বাবার নাম প্রকাশ করা হবে না, কারণ এতে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে এবং তা তারা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ধারণ করছে।

 

আন্তর্জাতিক

ভারতের ফ্লাইট বাতিল ও সতর্কতা জারি

সাইক্লোন ফেঙ্গালের কারণে ৩০ নভেম্বর চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুতে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ভারী ঝড়ো হাওয়া এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাইক্লোন ফেঙ্গাল দুপুরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আঘাত হানবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এই কারণে ইন্ডিগো তাদের চেন্নাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করার […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৯

সাইক্লোন ফেঙ্গালের কারণে ৩০ নভেম্বর চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুতে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ভারী ঝড়ো হাওয়া এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাইক্লোন ফেঙ্গাল দুপুরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আঘাত হানবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এই কারণে ইন্ডিগো তাদের চেন্নাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করার পাশাপাশি কিছু ফ্লাইট অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

দুপুর ১২.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা বাতিল ফ্লাইটের ক্ষেত্রে রিফান্ড বা বিকল্প ফ্লাইট বুকিংয়ের সুবিধা পাবেন।এই ঝড়ের কারণে তামিলনাড়ুর একাধিক জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ৪৭১ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঝড়ের কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে এবং উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় এক মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের কারণে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।শ্রীলঙ্কার উপকূল স্পর্শ করার সময় সাইক্লোন ফেঙ্গালের প্রভাবে নিহত হয়েছে ১২ জন যার মধ্যে ছয়জন শিশু।

চেন্নাই সহ তামিলনাড়ুতে এখন সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছে, যাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে