ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, সংগঠনটি গাজা উপত্যকায় একটি জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করতে চায়। হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য ও লেবাননে সংগঠনটির প্রতিনিধি ওসামা হামদান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যখন কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে তখন তিনি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হামাসের এ অবস্থান তুলে ধরেন। হামদান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সময়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমরা একটি জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার চাই। পরবর্তীতে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করার আগ পর্যন্ত এই সরকার কাজ করবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে যতটুকু আলোচনা হয়েছে তাতে প্রমাণিত হয়েছে, তেল আবিবের কাছ থেকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের একমাত্র উপায় ইহুদিবাদী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং তাকে পশ্চাদপসরণে বাধ্য করা।
হামাসের এই সিনিয়র নেতা আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী গাজাবাসীকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করে তাদের ওপর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিরোধ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বার্তা হচ্ছে, তারা ইসরাইলবিরোধী প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে এবং তাদেরকে কোনো কিছুই দুর্বল করতে পারবে না।
তেল আবিবের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ওসামা হামদান বলেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে, গাজা থেকে সকল ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি বন্দি বিনিময় করতে হবে এবং এই উপত্যকার পুনর্নির্মাণের সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, গাজার পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে ইসরাইলকে কোনো পূর্বশর্ত আরোপ করতে দেয়া হবে না।
সূত্রঃ পার্সটুডে

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?