শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

আমেরিকার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

চীন আমেরিকার কয়েক ডজন কোম্পানির কাছে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায়, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই নিষেধাজ্ঞা দিলো। চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় “জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য” রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় আমেরিকার ২৮টি কোম্পানিকে যুক্ত করেছে। পার্সটুডে-এর মতে, জেনারেল ডাইনামিক্স, বোয়িং ডিফেন্স, স্পেস অ্যান্ড সিকিউরিটি, লকহিড […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৩

চীন আমেরিকার কয়েক ডজন কোম্পানির কাছে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায়, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই নিষেধাজ্ঞা দিলো।

চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় “জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য” রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় আমেরিকার ২৮টি কোম্পানিকে যুক্ত করেছে। পার্সটুডে-এর মতে, জেনারেল ডাইনামিক্স, বোয়িং ডিফেন্স, স্পেস অ্যান্ড সিকিউরিটি, লকহিড মার্টিন এবং রেটন ডিফেন্স মিসাইল ইন্ডাস্ট্রিজ এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে। এছাড়া এই কোম্পানিগুলোর কাছে ডুয়েল পারপাস আইটেম রপ্তানিও নিষিদ্ধ করেছে চীন।

চীন এমন এক সময় এই প্রতিক্রিয়া দেখালো যখন তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত চাপ মোকাবেলা করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পহুমকি দিয়েছেন চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ভারী শুল্ক আরোপ করা হবে।

২০ জানুয়ারী ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যা ঘটতে পারে তা মোকাবেলা করার জন্য চীন নিজেকে প্রস্তুত করছে বলে মনে হচ্ছে।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ভারী শুল্ক আরোপ করে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধকে কঠোর করেছিলেন এবং এখনও তিনি সেদিকেই অগ্রসর হতে বদ্ধপরিকর।

যদিও ট্রাম্প বাহ্যত আমেরিকার অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প খাতগুলোকে রক্ষা করতে চীনের সাথে ব্যবসার ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধি করা এবং প্রযুক্তি সহযোগিতায় কঠোরতা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, তবুও এটা স্পষ্ট যে চীনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বৈশ্বিক আধিপত্য হারানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

প্রকৃতপক্ষে ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হল বিশ্বের দক্ষিণ-পূর্ব অক্ষের তিন শক্তিকে ধ্বংস কিংবা দুর্বল করা। ওই তিনটি শক্তি হলো ইরান, রাশিয়া এবং চীন। পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ও অস্থিরতা বৃদ্ধি, ইউক্রেনে যুদ্ধের আগুনে ঘি দেওয়া এবং চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধকে তীব্রতর করা ইত্যাদি ব্রিকস জোট কেন্দ্রিক বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলীয় শক্তিগুলোর উত্থানকে মোকাবিলা করার মার্কিনি কৌশল।

বাণিজ্যিক এবং আর্থিকখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্রিকসের সাফল্যের ব্যাপারে ট্রাম্প সম্প্রতি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে বোঝা গেছে আমেরিকা ব্রিকসের কার্যক্রমের প্রতি উদাসীনতার ভান করলেও ভেতরে ভেতরে খুবই উদ্বিগ্ন। অতএব, রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং আমেরিকার কোম্পানিগুলোকে ডুয়েল পারপাস আইটেম রপ্তানি নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে চীন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক, সামরিক এবং নিরাপত্তা চাপের বিরুদ্ধে দক্ষিণ বিশ্বের শক্তির প্রমাণ।

যেমনভাবে দক্ষিণ বিশ্বের অপর দুই শক্তি ইরান এবং রাশিয়াও হোয়াইট হাউসের অনেক ষড়যন্ত্র বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া ও ইউক্রেনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা চাপকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সফল হয়েছে।

অতএব হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিশন হল, বেইজিংয়ের ওপর সর্বাত্মক আঘাত হানা, যাতে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অগ্রগতির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সুরক্ষা প্রাচীর তৈরি করা যায়।

তবে পশ্চিমা শক্তিগুলোর একচেটিয়া প্রযুক্তির সীমানা অতিক্রম করা এবং আকর্ষণীয় বিশ্ব বাজার বৃদ্ধি ইত্যাদি বিবেচনায় এটা কল্পনা করা কঠিন যে আমেরিকা শুল্ক চাপ আরোপ করে চীনকে তার সীমানায় সীমাবদ্ধ করতে পারবে।

সূত্রঃ পার্সটুডে

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩