ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে আরো এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ২০ দিন বয়সী ওই শিশু প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে হাইপোথার্মিয়ায় ভোগার পর মৃত্যুবরণ করে।
দখলদার ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের মুখে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের খাদ্য, পানি এবং জ্বালানি সংকটে পড়েছে। শীত মৌসুম শুরু হওয়ার পরও সেখানকার লোকজন যেমন খোলা জায়গায় তাঁবুর ভেতরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে তেমনি কোন হিটিং ব্যবস্থা নেই। এতে ভয়াবহ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় টিকতে না পেরে জুমা আল-বাতরান নামে ২০ দিনের এই শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। শিশুটির যমজ ভাই আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, গতকাল ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদার বাহিনী আল ওয়াফা হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালায় যাতে অন্তত সাত ফিলিস্তিনি শহীদ এবং বেশ কয়েকজন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল বার্শ জানান, ইসরাইলি হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আল-ওয়াফা হাসপাতালটি ঠিক করে আবার যখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন ইহুদিবাদী বাহিনী এই হাসপাতালে গোলাবর্ষণ করেছে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালটি আবার চালু করা হবে বলে তিনি আশা করেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইল চলমান আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। এতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া গাজার মানবতা এখন বিপন্ন। প্রশ্ন উঠেছে- দখলদার ইসরাইলের এই বর্বরতার শেষ কোথায়? কবে হবে এর অবসান?
সূত্রঃ পার্সটুডে

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?