নিজ দেশের গণমাধ্যমে তোপের মুখে আছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ময়ুখ। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতে বিক্ষোভ ও দেশটির গণমাধ্যমে একের পর এক অপপ্রচারের জেরে ভারত-বাংলাদেশ সর্ম্পক এখন তলানিতে। আর তার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন খাতে। প্রায়ই শূন্যে নেমেছে বাংলাদেশী পর্যটকদের সংখ্যা। তাতেই মাথায় হাত নিউমার্কেটের চত্বরের ব্যবসায়ীদের।
ভারতীয়রা বলছে , বাংলাদেশীরা পর নয় বরং তারা ঘরের লোক। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।
আর নিজ দেশের গণমাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে বিজেপি নেতার আসল রহস্য। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জনরোষে পড়েছেন এই বিজেপি নেতা, শিকার হয়েছেন মারধোরের ও।
কলকাতার অধিকাংশ ব্যবসায়ী বাংলাদেশী পর্যটকদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশী পর্যটকদের অভাবে কলকাতায় এখন হাহাকার শুরু হয়েছে। তাই বাংলাদেশীদের এখন ভিসা না দিয়ে উল্টো বিপদে পড়েছে ভারত সরকার।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এ নিয়ে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, তারা পেয়াজ ও আলু মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় প্রতি কেজি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন যার ফলে তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না।
এ পরিস্থিতিতে কৃষকরা রাস্তায় পেয়াজ ও আলু ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এসবের জন্য মোদী সরকার ও সাংবাদিক ময়ূখসহ বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে দায়ী করছেন।
এছাড়া ময়ূখের বাড়িতে হামলা ও তার বাড়িকে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি ও জানিয়েছে তারা। ভারতীয় জনপ্রিয় গণমাধ্যম কলকাতা টিভিতে শুভেন্দুর বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ থেকে হাসিনা সরকার চলে যাওয়ায় মোদী সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যে প্রপোগান্ডা দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতীয় জনগণের মধ্যে বিভেদের দেয়াল তৈরি করেছে তা নিয়ে কিছুদিন আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে এসে সর্ম্পক উন্নয়নের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে পেয়াজ ও আলু আমদানির জন্য ভারতের উপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্থান ও চীন থেকে পণ্য আমদানি করছে। এছাড়াও আরো চারটি দেশের সাথে নতুন করে আলু, পেয়াজ কেনার কথাও চিন্তা করছেন।
ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি ইতিমধ্যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন আর এই রপ্তানি বন্ধের ফলে কৃষকদের জীবন আরো দুবির্ষহ হয়ে পড়েছে। জনসাধারণের সুরে তাল মিলিয়ে একই কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই দুর্দশার জন্য সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা এবং মিডিয়ার অপপ্রচারকে দায়ী করছেন তারা।