পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে রাউল মুলিনো। তিনি বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় পানামা খাল অতিক্রমকারী মার্কিন জাহাজগুলোর শুল্ক কমানোর সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি পানামা সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এ নিয়ে আলোচনা করার কিছু নেই।” মুলিনো বলেন, “পানামা খাল সম্পূর্ণ পানামাবাসীর সম্পদ। এই বাস্তবতা নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনার দরজা খোলা হবে না। অনেক রক্ত, ঘাম ও অশ্রুর বিনিময়ে পানামাবাসী এই খালের মালিক হয়েছে।
পানামা খাল অতিক্রমকারী মার্কিন জাহাজগুলোর কাছ থেকে গ্রহণ করা শুল্কের পরিমাণ নিয়ে ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করার প্রেসিডেন্ট মুলিনো এসব কথা বললেন। ট্রাম্প পানামার ওপর চীনের ‘ক্রমবর্ধমান প্রভাব’ নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে বলেন, পানামা খাল নিয়ন্ত্রণ করবে শুধু পানামা, চীন বা অন্য কেউ নয়। ট্রাম্প বলেন, আমরা এই খালকে কোনো ভুল হাতে পড়তে দেব না।
ট্রাম্প আরো বলেন, পানামা যদি এই খালের ‘নিরাপদ, দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য অপারেশন’ নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে এবং বিনা প্রশ্নে ফিরিয়ে দেয়া হোক।
ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট মুলিনো বলেন, পানামা খাল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে চীনের যেমন অংশগ্রহণ নেই তেমনি চীন সেখানে কোনো প্রভাবও রাখে না।
এর আগে গত মঙ্গলবার পানামা সিটির মার্কিন দূতাবাসের সামনে শত শত মানুষ মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ করেন এবং তারা ট্রাম্পের কুশপুতুল দাহ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে খননপ্রাপ্ত কৃত্রিম খাল পানামা ১৯১৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার দুই দশক আগে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির ভিত্তিতে খালটির নিয়ন্ত্রণ পানামার হাতে ছেড়ে দেয় ওয়াশিংটন।
সূত্রঃ পার্সটুডে

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?