সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজের দূতাবাস আবার চালু করার প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে ইরান। সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আশ-শাম বা এইচটিএস সিরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দেশটিতে বিদ্যমান নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইরান তার দূতাবাস আবার চালু করতে চায় বলে জানিয়েছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি।
তিনি মঙ্গলবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরান কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এগুতে চায়। মোহাজেরানি বলেন, আমরা কূটনৈতিক উপায়ে দূতাবাস খোলার বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।
এ ব্যাপারে সিরিয়ার নয়া ক্ষমতাসীনদেরও আগ্রহ রয়েছে বলে জানান এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, “তারাও প্রস্তুত এবং আমরা এই মুহূর্তে দূতাবাস আবার চালু করার বিষয়ে কূটনৈতিক আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছি।
গত ৮ ডিসেম্বর এইচটিএস সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং এর ফলে দেশটিতে বাশার আল-আসাদ সরকারের ২৪ বছরের শাসনামল শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে দেশটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে নানামুখী চ্যালেঞ্জর সম্মুখীন।
ইরানি কর্মকর্তাদের আগের বক্তব্য পুনরুল্লেখ করে মোহাজেরানি বলেন, সিরিয়ার জনগণের ভোটে দেশটির সরকার নির্বাচন করতে হবে এবং এটি এখন ইরানের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ইরানের এই মুখপাত্র বলেন, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করাকেও তার দেশ অতি জরুরি মনে করে।
তিনি আরো বলেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিস্তার রোধ করা ইরানের আরেকটি উদ্বেগের জায়গা; কারণ, এটি সিরিয়ার পাশাপাশি গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করছে।
এর আগে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেছিলেন, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় থাকুক এবং দেশটির জনগণ বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করুক ইরান তাই চায়।
এছাড়া, সিরিয়া যেন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে না পারে সেটিও জরুরি। তবে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি দেশটির সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে বিপদাপন্ন করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্রঃ পার্সটুডে

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?